Site icon Jamuna Television

মুন্সিগঞ্জে ২’শ বছরের পুরনো কবরস্থান ভেঙ্গে অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাড়িদিয়া গ্রামে ২৬ শতাংশ জায়গায় প্রায় দুইশত বছরের পুরনো কবরস্থান ভেঙ্গে
সেখানে প্রায় ৫০টির মত বস্তিঘর নির্মাণ করে চলছে মাদক ও নারী সংক্রান্ত অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে।

এসব কর্মকান্ডের মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত জহির দেওয়ান (৭০) নামের এক ব্যক্তি। এলাকাবাসীর অভিযোগ জহির দেওয়ান বিভিন্ন সময়ে নিজ হাতে ঘরে আগুন লাগিয়ে এলাকার মেম্বারসহ অনেককে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান। তার ছেলে তিন মামলার আসামি জাহিদ দেওয়ান (৩০) একজন চিহ্নিত মাদক ডিলার, সে এই কবরস্থানের স্থানে নির্মিত বস্তিতে মাদক সেবনের বড় আস্তানাসহ মাদক বিক্রি করে। সেই সাথে বস্তিঘরের অন্তরালে নারীদের দিয়ে অসামাজিক কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়। এসকল অসামাজিক কার্যকলাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুরো বস্তি এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে ৮টি সিসি ক্যামেরা।

এ বিষয়ে গাঁওদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবুল কালাম আজাদ মুন্সী জানান, এই কবরস্থানটি বহুদিনের পুরনো এখানে আমার বাপ দাদাসহ শতশত মানুষের দাফন করা হয়েছে। আমি নিজ হাতে এই কবরস্থানে অনেক মানুষকে দাফন করেছি। অথচ প্রায় পনেরো বছর যাবত এলাকার একজন ভূমি-দস্যু জহির দেওয়ান কবরস্থানটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে ৫০ টির মতো বস্তিঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এখানে ৮টি সিরি ক্যামেরা লাগিয়ে এলাকাবাসীকে ভয় ভীতি ও নানান ভাবে হয়রানিসহ ভেতরে মাদকসহ নারীদের দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে বাঁধা দিতে গেলে নিজ বস্তিতে আগুন লাগিয়ে বাঁধা প্রদানকারীদের হেনস্তা করা হয়। এছাড়া সন্ত্রাসী বাহিনী কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ ও কিছু বলতে সাহস পায়না।

অভিযুক্ত জহির দেওয়ানের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারো জায়গা দখল করিনি। এটি আমাদের পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা। তাই এটা ভেঙ্গে বস্তিঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছি।

তবে অভিযুক্ত জহির দেওয়ানের তার আপন ভাইয়েরা জানান, জহির খারাপ মানুষ হওয়াতে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে আত্মীয় স্বজনরা কেউ ঝামেলায় জড়াতে রাজী নয়। কিন্তু কবরস্থানটি পারিবারিক হলেও গত দুইশত বছরে এলাকার শত শত লোককে এখানে কবর দেয়া হয়েছে এবং এখানে ২৪ শতাংশ ওয়াকফ করা সম্পত্তি রয়েছে।

লৌহজং সহকারী কমিশনার ভূমি মুঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি, এলাকার কয়েকজন এসে আমার নিকট একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে আমরা দ্রুত সরকারি খাস জায়গা উদ্ধারের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবং কবরস্থান ভেঙ্গে জায়গা দখল করে বস্তিঘর নির্মাণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

Exit mobile version