Site icon Jamuna Television

আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা ৩৮টি প্রতিষ্ঠান চলছে ইস্যু মূল্যের নীচে

আট বছরে আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টিই ইস্যু মূল্যের নীচে। ১১টির অবস্থানও বেশ দুর্বল, অভিহিত মূল্যের নীচেই চলছে লেনদেন। আর্থিক অবস্থা ফুলিয়ে ফাপিয়ে দেখানোতে, এসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির পর দুর্বল হয়ে পড়ে, মিলছে না লভ্যাংশও। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে অস্থিরতা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি দায়ী এসব প্রতিষ্ঠান। এর দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না বিএসইসি।

সি এন্ড এ টেক্সটাইল ২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত হয় পুঁজিবাজারে। শুরুতে ১৭ টাকায় লেনদেন হলেও ১০ টাকা অভিহিত মুল্যের এই শেয়ারের দাম এখন ৩ টাকা। একই বছরে তালিকাভুক্ত তুং হাই নিটিং লেনদেন হচ্ছে ৩ টাকা ৮০ পয়সায়। যদিও শুরুতে লেনদেন হয় ২০ টাকায়। ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত ফ্যামিলি টেক্সও লেনদেন হচ্ছে অভিহিত মূল্যের অন্তত ৬ টাকা কমে। শুরুতে যার দাম উঠে ২৭ টাকায়।

২০১০ সালে বাজার ধসের পর, বিএসইসি ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শতাধিক সিকিউরিটিজের অনুমতি দেয়। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর মধ্যে ৩৮টিই লেনদেন হচ্ছে ইস্যু মূল্যের নীচে। ১১টির অবস্থান বেশ দুর্বল; হাতবধল হচ্ছে অভিহিত মূল্যেরও অনেক কমে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আর্থিক প্রতিবেদন কারসাজি করেই তালিকাভুক্ত হয়েছে এসব কোম্পানি। আর এ সুযোগ করে দিয়েছে ইস্যু ম্যানেজার।

এর দায় নিতে চায় না নিয়ন্ত্রক সংস্থাও। তাদের দাবি,আইপিও অনুমোদন দেয়া হয় নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার দায় এড়াতে পারে না, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। আইপিও কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ।

তালিকাভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ দেয় না, সেসব কোম্পানি উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

Exit mobile version