Site icon Jamuna Television

পটুয়াখালীতে পুলিশের যোগসাজসে বসতঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নিয়ে সতেরো শতাংশ জমির উপর ঘর নির্মাণ করে পাঁচ বছর ধরে বসবাস করে আসছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পাড় ডাকুয়া এলাকার মোসাম্মদ নারগিস বেগম। সেই জমি অবৈধভাবে নারগিসের প্রতিপক্ষ খলিল মাল ও জিয়া মাল গংরা মিলে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে দখলে নিয়ে তাদেরকে ঘর ছাড়া করে। এ ব্যপারে থানা পুলিশকে অবহিত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এমন অভিযোগ এনে রোববার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা আক্তার। লিখিত বক্তব্যে নারগিস বেগম জানান, ২০১৪ সাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে সতের শতাংশ জমি লিজ নিয়ে বসতঘর উঠিয়ে বসবাস করছে মো. জাফর মালের (নারগিস বেগমের স্বামী) পরিবার ও তার ভাই ইউছুফ মাল।

কিন্তু ওই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে প্রতিপক্ষ মো. খলিল মাল ও তার ছেলে জিয়া মাল গং নানা অপকৌশল চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগষ্ট গলাচিপা থানার ওসির বরাত দিয়ে তাদের ঘরে তালা দিতে যায় ওই থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান।
পরে ভুক্তভোগীরা আন্দাজ করতে পেরে দুইদিন পর ১৬ আগষ্ট গলাচিপা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করে নারগিস বেগমের দেবর মো. ইউসুফ মাল। আদালতে মামলার রোষে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ জিয়া মালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ১৯ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।

হামলার পর গলাচিপা থানা পুলিশ মামলা না নিলে ২৩ আগষ্ট পটুয়াখালীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারগিস বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এজাহার হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিলে গলাচিপা থানা পুলিশ গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি গ্রহণ করে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, ‘জমিটা ওদের (নারগিস) না, জমিটা হলো খাস ল্যান্ড। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঠিয়েছিলাম’। পুলিশের নিরবতায় প্রকাশ্যে বসতঘর ভাংচুরের বিষয়ে তিনি বলেন- ‘এটা ওদের পারিবারিক বিষয়’।

এদিকে নারগিসের প্রতিপক্ষ খলিল মালের ছেলে মো. জিয়া মাল বসতঘরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমরা আমাদের জমিতে নতুন করে ঘর নির্মাণ করেছি। সেখানে কিছু পুরাতন ঘরের মালামাল ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলেছি।

Exit mobile version