
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
টেকনাফে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে স্থানীয় যুবককে হত্যার ঘটনায় ডাকাত জকিরের এক সহযোগীসহ ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭টার দিকে ১৬ এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার এটিএম তোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের সদস্যরা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছে ডাকাত জকিরের সহযোগী ই-ব্লকের আমির হামজার ছেলে শফি (৩০), বি-ব্লকের মুল্লুক আহমদের ছেলে দোস্ত মোহাম্মদ (৩৭), ই-ব্লকের মৃত মন্তর হোসেনের ছেলে জাফর হোসেন (৫৩)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফি ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং দোস্ত মোহাম্মদ ও জাফর জকিরকে তথ্য সরবরাহ করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় ডাকাত জকিরের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আব্দুস শুক্কুর নামে স্থানীয় এক যুবককে তার বাড়িতে গিয়ে উপর্যপুরি গুলি করে হত্যা করে।
নিহত আবদুস শুক্কুর ওই এলাকার আবুল বশরের ছেলে। নিহত আবদুস শুক্কুরের চাচা আবুল হাসেম জানান, ‘সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শালবাগান (২৬ নং) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিক থেকে জকির ডাকাদের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে এসে শুক্কুরকে খুঁজতে থাকে। এসময় একজন ঘরের ভেতরে ঢুকে শুক্কুরকে খুঁজে পায়।
সাথে সাথে জকির নিজে ঘরে ঢুকে ৩ রাউন্ড গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ শুক্কুর দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে আরো ৩ রাউন্ড গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পাহাড়ের দিকে চলে যায় তারা।
গুলিবিদ্ধ শুক্কুরকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্য ও টেকনাফ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে ১৬ এবিপিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার হেমায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে উক্ত যুবককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে ডাকাত জকির বাহিনীর দলনেতা জকির, ধলু হোসেন, মিজানসহ ৮-১০জন অংশ নেয় বলে জানান তিনি।
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply