Site icon Jamuna Television

বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে,বাইডেন প্রশাসন এলে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাইডেন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে বেশি সক্রিয় হবেন বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে থাকায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন।

শ্বাসরুদ্ধকর এক নির্বাচন শেষে বিজয়ীর হাসি হাসলেন ডেমোক্র্যাটরা। ইলেক্টোরাল ভোটে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির নেতৃত্ব আগামী চার বছরের জন্য জো বাইডেনের হাতেই থাকছে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের পছন্দের শীর্ষে ছিলেন এই ডেমোক্রেট নেতা। অনেকেই মনে করছেন, বহুমাত্রিকতার যে সৌন্দয্য ছিল আমেরিকার, তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা থাকবে বাইডেন প্রশাসনের। তাই ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কেও ছন্দপতন হবে না বলেই মনে করছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জো বাইডেন জলবায়ু নিয়ে সোচ্চার, অভিবাসী ইস্যু নিয়েও সোচ্চার। আমাদের কোনো অসুবিধে নেই। তাছাড়া, ব্যক্তির ওপর রাষ্ট্রনীতি নির্ভর করে না।

বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের বড় মাথাব্যথা। সরকার পরিবর্তন হলেও এই ইস্যুতে নীতিতে কোন পরিবর্তন যে হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত। আর তাই সবার সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে ঢাকা এমনটাই জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা ভালো করছি। আমরা ভূরাজনৈতিকভাবে খুব সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। আমাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। সবাই আমাদের বন্ধু। আমরা সবার সাথে উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি। সুতরাং বাইডেন প্রশাসন এলে আমাদের কোনো অসুবিধে হওয়ার কারণ নেই।

মৃত্যুদণ্ডপ্রান্ত বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনী রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্থ হবে না বলেই বিশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বলেন, এগুলো অনেকটা নিউট্রাল ইস্যু। আইনের মাধ্যমে হবে। সুতরাং এতে কোনো অসুবিধে হবে না।

রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা কোভিড মোকাবিলার মত বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প সরকারের চেয়ে বেশি সক্রিয় হবেন বলে আশা করছে বাংলাদেশ।

Exit mobile version