Site icon Jamuna Television

এএসপি হত্যা: ‘মাইন্ড এইড’ বন্ধ ঘোষণা; সুষ্টু বিচারের দাবি

রাজধানীর আদাবরের যে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কর্মচারীদের পিটুনিতে এএসপি আনিসুল করিম নিহত হয়েছেন সেটি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে আদাবরের মাইন্ড এইড মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তেঁজগাও বিভাগের ডিসি হারুনুর রশিদ তালা ঝুলিয়ে দেন। এদিকে ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে থাকা রোগীদের অন্যত্র নিয়ে গেছেন স্বজনরা।

তবে এখনও পলাতক রয়েছেন মালিকসহ অন্য স্টাফরা। তাদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এদিকে, আনিসুল করিম হত্যার বিচার চেয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন করেছেন তার সহাপাঠী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনার দ্রুত বিচার চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও মানববন্ধন করেছেন বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি দল মাইন্ড এইড মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নথিপথ সংগ্রহ করেন তারা। পরে তাদের পক্ষ থেকেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়। এসময় ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল আহসান বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিক না। এমনকি কোন ধরণের নিয়মেরই তোয়াক্কা তারা করে নি তারা। তিনি বলেন, তারা আবেদন করেছিল, কিন্তু মার্চ মাসের চার তারিখ আমরা এটার আবেদন স্থগিত ঘোষণা করেছি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আহসানুল হক জানান, স্থগিত থাকাকালীন কোন হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না। দিলে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দেন তিনি।

যে কক্ষে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সেটি মূলত মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে মনিটরিং করা হতো। তবে কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় বিস্তারিত জানা যায়নি।

এছাড়া ডিবি পুলিশ, পিবিআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

Exit mobile version