Site icon Jamuna Television

বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গামেন্টসকর্মী, মা মেয়েসহ আটক ৩

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মানিকপুর গ্রামে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক গামেন্টকর্মী কিশোরী। এ ঘটনায় ভুক্তভােগী কিশোরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বান্ধবী আদূরী তার মা জাহানারা বেগম ও অভিযুক্ত সোহেলের ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক আদূরী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে। পলাতক অভিযুক্ত সোহেল মিয়া (৩৮) পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর (ভগবানপুর) গ্রামের কমির মিয়ার ছেলে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে জানান, ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন কিশোরী ও আদূরী। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৭ অক্টোবর আদুরীর সঙ্গে তাদের গোবিন্দগঞ্জের বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। সেখানে কয়েক দিন থাকার পর আদুরীর সম্পর্কে দুলাভাই সোহেল মিয়ার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর।

শুক্রবার সকালে সোহেল কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেল তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় সোহেলের সঙ্গে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন ছিলো বলে অভিযোগ কিশোরীর। পরে গভীর রাতে তাকে বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ফেলে রেখে চলে যায় সোহেল। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরী বাদি হয়ে অভিযুক্ত সোহেলসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত এজাহার করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে বান্ধবী আদূরী তার মা জাহানারা বেগম ও অভিযুক্ত সোহেলের বড় ভাইকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নির্যাতিত কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

Exit mobile version