
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করে দেয়ার হুমকির মাধ্যমে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে। এই অপরাধে যুব খেলাফত মজলিসের নেতা মামনুল হককে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এ সময় বক্তারা বলেন, জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপনে বাঁধা প্রদান এবং স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এমন হুমকি রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।
সমাবেশ থেকে ৭ দফা দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে, প্রতিটি উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হবে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে, অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও মাদ্রাসা শিক্ষা ঢেলে সাজাতে হবে।
গেল ১৩ নভেম্বর জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে এক সমাবেশ থেকে ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে ‘মূর্তি’ আখ্যা দিয়ে তা অপসারণের দাবি তুলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তরা বলেন, মূর্তির বদলে আল্লাহ, কোরআন ও হাদিসের বাণী সম্বলিত মিনার স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ মসজিদের দেশ, আউলিয়ার দেশ, মাদরাসার দেশ। এদেশে কোনও মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না।
ওইদিনই রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।



Leave a reply