Site icon Jamuna Television

সুযোগের অপেক্ষায় হতাশ-নাজমুল

প্রায় ১২ বছর জাতীয় ক্রিকেট দলকে সার্ভিস দিয়েছেন। একজন আদর্শ পেস বোলার হিসেবে দেশের পক্ষে রয়েছে বেশ কিছু সফলতাও। বিশ্বের সব বড় বড় দলের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেয়ার মত কীর্তিও গড়েছেন তিনি।

জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর কোচ হিসেবেই নিজেকে স্ট্যাবলিস্ট করেন নাজমুল। জাতীয় লিগে সিলেট বিভাগের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রিমিয়ার লিগেও ছিলেন লিজেন্ট অব রূপ গঞ্জের বোলিং কোচ। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু থেকেই এখন বঞ্চিত নাজমুল হোসেন। গেলো ৯ মাসের এই কর্মহীন জীবন নিয়ে বেশ ক্লান্ত টাইগার ক্রিকেটের সাবেক এই পেস বোলার।

করোনার ধকল কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। প্রেসিডেন্ট কাপ শেষ হয়েছে। ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেট। পাঁচ দল নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার সুযোগ নেই তিনি সেটা ভালো ভাবেই জানেন। তবে কোচিং স্টাফের সদস্য হিসেবে যে কোনো দলের সাথে থাকবেন খানিকটা আশাও করেছিলেন নাজমুল। কিন্তু সেটি আর হয়নি।

যমুনা নিউজের সাথে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, জাতীয় দলে খেলেছি প্রায় ১২ বছর, সব সময় চেষ্টা করেছি দেশের পতাকা সারাবিশ্বে উঁচিয়ে ধরতে। অথচ খেলা ছাড়ার পর এক রকম অবহেলার শিকারই হতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেটে এমনও কিছু সাবেক খেলোয়াড় কোচিং স্টাফে রয়েছে যারা জাতীয় দলের হয়ে একটি বা দুটি ম্যাচ খেলেছেন। আবার কেউ কেউ জাতীয় দলের হয়ে কখনোই খেলেননি। এমনকি প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় লিগেও ততটা ভালো করেননি বা খেলার সুযোগ পাননি। তারপরও বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলগুলোর কোচিং স্টাফ বা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন খুব সহজেই। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো। এই কারণেই বেশ হতাশায় ভুগছি। আমার কাছে কর্মহীন জীবনের মানে অভিশাপ।

তিনি আরও জানান, আমার মত আরও বেশ কয়েকজন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হতাশায় ভুগছেন। কোচ হিসেবে নিজেকে যতটা প্রস্তুত করেছি, আশা করি বিসিবি সুযোগ দিলে ভালো কিছুই করতে পারবো। এখন শুধুই একটা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি।

দেশের হয়ে দুটি টেস্ট খেলেছেন নাজমুল, পেয়েছন ৫টি উইকেট। ৩৮ ওয়ানডেতে নাজমুলের শিকার ৪৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৬টি, সেখানে ১২ জন ব্যাটসম্যানকে
প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন এই পেসার।

Exit mobile version