Site icon Jamuna Television

বাদল রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন: চোখের জলে বিদায়

মোহামেডানেই শুরু, মোহামেডানেই শেষ। এটি এমনই এক ক্লাব আঙ্গিনা তার জন্য; যেখানে খেলোয়াড় কিংবা সংগঠক হিসেবে কখনই সমাপ্তি টানতে পারেননি। শত লোভনীয় প্রস্তাবেও যে মোহামেডানকে ছাড়তে পারেননি, সেই প্রিয় ক্লাব থেকেই চির বিদায় নিলেন বাদল রায়। চির বিদায় হলো ক্রীড়াঙ্গনের এক প্রাণপুরুষের। এবার তাকে চির বিদায় জানালো প্রিয় জার্সির সেই সাদা-কালো ধূসর রঙ।

তার সতীর্থ-সহকর্মীরা বলছেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গন হারালো সত্যিকারের নিবেদিত এক সংগঠককে। আর রাজনৈতিক সহকর্মীদের দাবি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক সৈনিককে হারালো জাতি। মোহামেডান ক্লাব ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে, বাসাবো কালী মন্দির শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ক্রীড়া সংগঠকের।

ফুটবল পায়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, সেখানেও নিথর দেহে উপস্থিত সবার প্রিয় বাদল রায়। তাকে বিদায় দেয়ার তখনও যে বাকি দেশীয় ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্টদের। ছুঁটে এসেছেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরাও। শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনসহ ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরের মানুষ শেষবারের মতো বিদায় জানিয়েছেন বাদল রায়কে।

এরপর বাদল রায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরিয়ে তার মরদেহ নেয়া হয় বাসাবো কালী মন্দির শ্মশানঘাটে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগঠকের। অবসান হয় ক্রীড়াঙ্গনে, সততা ও নিষ্ঠার পথিকৃত এক বাদল রায়ের পথচলা!

১৯৭৭ সালে মোহামেডানের হয়ে জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলে অভিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই একই ক্লাবে কাটিয়ে দিয়েছেন তার প্রায় এক যুগের খেলোয়াড়ী জীবন। তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলেও জাতীয় ফুটবল দলকে বহুবার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Exit mobile version