Site icon Jamuna Television

ফেরাটা রাজসিক হলো না সাকিবের

মাত্র তিন রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন সাকিব

দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় সব ধরনের ক্রিকেটের বাইরে তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিবের ফেরাটা কেমন হয় তা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিল ক্রীড়াপ্রেমীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনা বনাম ফরচুন বরিশালের ম্যাচে সেই অপেক্ষার প্রহর ঘুচলো।

টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়া খুলনার হয়ে ম্যাচের সপ্তম ওভারে বল হাতে নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। তখন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করা সাকিবের ফেরাটা রাজসিকই হবে। নবম ওভারে দ্বিতীয়বার বল হাতে তুলে নিয়ে প্রথম বলেই আফিফ হোসেনকে জহুরুল ইসলামের তালুবন্দি করান সাকিব। সেই ওভারে ৮ রান দেন তিনি। ১৩-তম ওভারে তৃতীয়বার বল হাতে তুলে নিয়ে দেন ৭ রান। সবমিলিয়ে ৩ ওভার বল করে ১৮ রানে ১ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে এটিকে ভালোই বলা চলে। কিন্তু ব্যক্তিটি যে সাকিব আল হাসান। উঁচুতে ওঠা প্রত্যাশার পারদ কী আর স্পর্শ করা যাবে এতে? অবশ্য তখনও ব্যাট হাতে নামা বাকি আছে সাকিবের।

কিন্তু, ব্যাটিংয়ে নেমে সেট হয়েও আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাকিব। দলকে বিপদে রেখে ১৩ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান। ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভারে সুমন খানের বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। যে আফিফ হোসেনের উইকেট শিকার করেছিলনে সেই আফিফই তাকে তালুবন্দি করেন।

অথচ ম্যাচের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারানো খুলনার হয়ে যখন মাঠে নামেন তখন সাকিবকে বেশ ধীরস্থির মনে হচ্ছিল। সিঙ্গেলস ওপর ভর করে উইকেটে সেট হন। সুমন খানের পরপর দুই ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু তৃতীয়টি আর আদায় করতে পারলেন না। উল্টো দলকে বিপদে রেখে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে গেলেন সাজঘরে। পরপর দুই ওভারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে ম্যাচটা আরও কঠিন হয়ে গেলো খুলনার জন্য। আর সাদামাটাভাবে ফিরে আসার অতৃপ্তিটাও রয়ে গেলো সাকিবের মনে।

Exit mobile version