Site icon Jamuna Television

ব্র্যাথওয়েটকে মনে করিয়ে দিলেন আরিফুল

কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে নিশ্চয় মনে আছে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায় হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচের শেষ ওভারে চার ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়েছিলেন। এবার যেন মিরপুরের মাঠে ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে আনলেন আরিফুল। এবারও শেষ ওভার আর ৪ ছয়!

গোটা ম্যাচে ধীরগতিতে ব্যাট করা আরিফুল শেষ ওভারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবালের বরিশালের নিশ্চিত জয়টিই যেন ছিনিয়ে নিলেন। বরিশালের ছুড়ে দেয়া ১৫৩ রান তাড়া করে শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। কাগজে কলমে শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা ফরচুন বরিশাল তখন দারুণ এক জয়ের কাছাকাছি।

প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দেওয়া মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে শেষ ওভারে বল তুলে দেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। প্রথম দুই বল লং অনের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান আরিফুল। পরের বলে গ্রাউন্ডে ঠেলে দেন তিনি। সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করেন আরিফুল। অপর প্রান্ত ছিলেন বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের আরেক নায়ক শহীদুল ইসলাম। এরপর মিরাজের চতুর্থ ও পঞ্চম বল দুটি মিডি উইকেট দিয়ে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন আরিফুল।

অথচ এরআগে, ব্যাটে বলে যেন ঠিকঠাক হচ্ছিল না আরিফুলের। প্রথম ২৪ রান করেছেন ২৯ বলে। মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে ম্যাচটা ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে যাওয়া দায় অনেকটা তার ওপরও যেন পড়েছিল। সেই আরিফুলই কিনা পরের ২৪ রান তুললেন মাত্র ৫ বলে! শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৪৮ রান করে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের পেছনে ফেলে তিনিই খুলনার জয়ের নায়ক।

এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার রাজসিকভাবে ফেরা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। বল হাতে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ব্যাট হাতে দুই বাউন্ডারিতে ১৩ বলে ১৫। এটিকে মন্দ বলা চলে না। তবে মানুষটি সাকিব বলেই কিনা ভক্তদের প্রত্যাটার পারদটা ছিল উঁচুতে। সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলকে বিপদে ফেলার পর সাকিবও নিশ্চয় তৃপ্ত ছিলেন না তার পারফরম্যান্সে। তবে, শেষ ওভারে আরিফুলে ‘ব্র্যাথওয়েট’ হয়ে ওঠা নিশ্চয় সাকিবের অতৃপ্তি ঘুচিয়েছে।

Exit mobile version