Site icon Jamuna Television

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো আজারবাইজান

নাগোরনো-কারাবাখকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটির ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে আজারবাইজান। বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে তলব করা হয়েছে। খবর-ইউরো নিউজের।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজারবাইজানে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জাকারি গ্রোসকে সমন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২৫ নভেম্বর সিনেটে নাগোরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র স্বীকৃতি প্রয়োজন শীর্ষক একটি রেজ্যুলেশন গ্রহণ করায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিবাদে বলা হয়, এই রেজ্যুলেশনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে আজারবাইজান। এটা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ, হেলসিনকি আইন এবং ১৯৯৩ সালের জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে নিয়ম ও নীতি বিরুদ্ধ।

বিরোধীয় কারাবাখ নিয়ে ফ্রান্স সিনেটরদের এমন ভোটাভুটির প্রতিবাদ আজারবাইজানের সংসদে ফ্রান্সের প্রতি নিন্দা জানানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার দেশটির সিনেটরা এ বিরোধীয় অঞ্চলটিকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি দিতে একটি রেজ্যুলেশন পাস করে। এতে দেশটির সরকারকে নাগোরনো-কারাবাখকে স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানানো হয়।

কয়েক দশক ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে ওই অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। কয়েক দশক থেকে এলাকাটিতে দখলে থাকা আর্মেনীয় নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে আসছে।

১৯৯০ এর দশকে এই অঞ্চলটি ঘিরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। পরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ থামে। সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। আজেরি সেনাবাহিনীর একের পর এক হামলার মুখে আর্মেনীয়রা ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে। ফলে যুদ্ধ ছাড়াই কয়েকটি শহরের দখল পায় আজারবাইজান।

এ চুক্তিটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বিজয় হিসেবে দেখা হয়। এ চুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক।

ইউএইচ/

Exit mobile version