Site icon Jamuna Television

বাগেরহাটে ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যার দায় স্বীকার করলো মা

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার কোলের মধ্য থেকে ১৭ দিন বয়সী শিশু চুরি ও তিনদিন পরে পুকুরে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শিশুটির মা শান্তা আক্তার পিংকি (২২)।

মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পর (শুক্রবার রাতে) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোকন হেসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মা শান্তা আক্তার পিংকি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, ‘শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শান্তা আক্তার পিংকি তার মেয়েকে নিজেই বিছানা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন বলে স্বীকার করেন। ‘জিনের আঁচড়’ ভর করার কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশকে জানান।

থানা পুলিশ পরে পিংকিকে বাগেরহাট কোর্টে পাঠায়। কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন পিংকি। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের সুজন খানের ১৭ দিনের নবজাতক সানজিদাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন শিশুটির বাবা-মা জানায়, শিশুটিকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাতে থাকে। এরপর দিন শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার তিন দিন পর তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই শিশুটির বাবাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খান এখনো জেলহাজতে আছেন। শনিবার সুজন খানের ৩ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। রিমান্ডে স্বামী সুজন খান ও স্ত্রী শান্তা আক্তার পিংকিকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে পিংকি নিজের নবজাতকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

Exit mobile version