Site icon Jamuna Television

বাগেরহাটে শিশুকে অপহরণের পরে হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

ফাইল ছবি।

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জানালার গ্রিল খুলে ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে আড়াই মাসের শিশু আব্দুল্লাহকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার রায় রোববার।

ইতোমধ্যে আলোচিত এই মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদি ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ রোববার রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলমের আদালত রোববার বেলা সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টার মধ্যে এই রায় ঘোষণা করতে পারেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ মার্চ দিনগত রাত আনুমানিক তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে মোরেলগঞ্জের বিশারীঘাটা গ্রামের সোহাগ হাওলাদারের আড়াই মাস বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহকে জানালার গ্রিল খুলে ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

১১ মার্চ শিশুটির পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম সোহাগ অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৩ মার্চ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার ও মো. ফায়জুলকে মোরেলগঞ্জের গুলিশাখালী নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।

তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল হোতা মো. হৃদয় ওরফে রাহাত হাওলাদারের বাড়ি থেকে পুলিশ মামলার বাদির খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে। আর এই মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশের গোয়েন্দা টিম বিশেষ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৬ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে হৃদয় ওরফে রাহাতকে।

তার দেয়া তথ্যমতে অপহরণের সাত দিন পর ১৭ মার্চ দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের কাচারিবাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারের টয়লেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের ছেলে রাজ মিস্ত্রি হৃদয় ওরফে রাহাত, আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে ফায়জুল ও জসিম সোবহান হাওলাদারের ছেলে মহিউদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

এই মামলায় হৃদয় ওরফে রাহাত ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমীর মল্লিকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

২০২০ সালের ৯ মার্চ আদালত চার্জ গঠন করে। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৫ সাক্ষী ও আসামি পক্ষে ৪ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শেষে আদালত ২৯ নভেম্বর রোববার রায়ের দিন ধার্য করেন।

Exit mobile version