ক্রাইস্টচার্চ হামলার আগে কেবল মুসলিম সন্ত্রাসবাদের দিকেই নজর ছিল নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাদের। তাই মসজিদে ভয়াবহ হামলার আগে বিশেষ কোনো সংকেত পায়নি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
সেকারণেই ব্রেন্টন ট্যারান্টের হামলা ঠেকানো অসম্ভব ছিল প্রশাসনের জন্য। নিউজিল্যান্ডের রয়্যাল কমিশনের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য। ৮শ’ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, কিউই প্রশাসনের ধাপে ধাপে ব্যর্থতার চিত্র। বহু বছর ধরে চলে আসা নীতিমালায় গলদের চিত্র উঠে আসে প্রতিবেদনে। গোয়েন্দা বিভাগের দুর্বলতার পাশাপাশি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তদারকি ছিল না প্রশাসনের। নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে কমিশন। সে অনুযায়ী কাজ করার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। গত বছর হামলার পরই অবশ্য অস্ত্র আইনে কড়াকড়ি এনেছে কিউই সরকার।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, আসলে হামলা নিয়ে গোয়েন্দা বা প্রশাসনের কোনো ধারণাই ছিল না। সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। রয়্যাল কমিশন বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। যাতে নিউজিল্যান্ডকে আরও নিরাপদ রাখা যায়। যে ৪৪টি সুপারিশ করা হয়েছে সবগুলোর সাথে সরকার একমত।

