Site icon Jamuna Television

তসলিমা জানালেন, করোনা আক্রান্ত নন, দোয়াও চাননি

করোনা আক্রান্ত বলে তাকে নিয়ে কিছু নিউজ পোর্টালে খবর বেরিয়েছে যা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আলোচিত লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি আরও জানান, দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য তিনি দোয়া চেয়েছেন বলে যে খবর রটেছে তা ঠিক নয়।

মঙ্গলবার নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তসলিমা লেখেন, আজ কিছু নিউজ পোর্টাল দেখলাম খবর করেছে, আমি নাকি করোনায় আক্রান্ত এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি। এসব আমাকে আর অবাক করে না। আমার সম্পর্কে মিথ্যে খবর বিক্রি করে অনেকদিন ওরা খাচ্ছে। আমার মিথ্যে বিয়ে দেয়, যার তার সঙ্গে আমাকে শোয়ায়, আমার মিথ্যে ইন্টারভিউ ছাপায়, আমি যা বলিনি তা বলেছি বলে মিথ্যে কোট করে, আমার নাম দিয়ে বই ছাপায়। এসব সেই নব্বই সাল থেকে দেখছি। কেউ বলে মামলা করো, ব্যবস্থা নাও। আমার পক্ষে মামলা করা, ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

এর আগে, একবার মামলা করার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তসলিমা লেখেন, সম্ভবত ৯২ সালে মামলা করেছিলাম এক চোরের বিরুদ্ধে। চোরটি আমার নির্বাচিত কলাম পুরোটা ছাপিয়ে প্রতিটি রচনার তলায় তার এক বা দু’লাইনের মন্তব্য ঢুকিয়ে ‘তসলিমা নাসরিনকে উচিত জবাব’ নামে একটি বই ছাপিয়েছিল। মামলার খবর ছাপা হওয়ার পর চোরের বইটির বিক্রি ভীষণ বেড়ে গিয়েছিল। চোরটি ওটিই চেয়েছিল। মাঝখান থেকে আমার একগাদা টাকা খরচা হয়েছিল মামলায়, কপিরাইট লঙ্ঘন করার অপরাধে ওই লোকের কিচ্ছু হয়নি। এরপর থেকে ক্রিমিনালদের কীর্তিকলাপ দেখি, মন খারাপ হয়, তারপর নিজের কাজে মন দিই।

যে কারোই এখন কোভিড হতে পারে উল্লেখ করে এ লেখক লেখেন, কোভিড ঘরে ঘরে হচ্ছে। আমারও হতে পারতো। যেকোনো সময়ই অসাবধানে ঘরে ঢুকেও পড়তে পারে করোনাভাইরাস। হলে সবার আগে আমিই জানাবো যে আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। হলে আমি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য যাবো, কখনও কারও কাছে দোয়া চাইবো না, কারণ আমি দোয়ায় বিশ্বাস করি না। শুধু বদমাইশি করার জন্য মিথ্যে খবর ছাপানো, শুধু খবর বিক্রি করার জন্য মিথ্যে খবর ছাপানো- এ কিছু অসৎ লোক করবেই। করেই যাবে। বিশেষ করে আমাকে নিয়ে এসব করলে কেউ ওদের চড় থাপড় লাগায় না, তাই নির্ভাবনায়, নিশ্চিন্তে, মহানন্দে করে। চারদিকে ধর্ষক, নারীবিদ্বেষী, নারী হেনস্থাকারী, দুর্নীতিবাজ, চোর, গুণ্ডা, খুনী, মিথ্যুক, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, প্রতারক, নির্যাতকে গিজগিজ করছে। নিরীহ সরল সোজা কিছু মানুষ যে এখনও যুদ্ধ করে বেঁচে আছি, এটাই তো অনেক।

Exit mobile version