Site icon Jamuna Television

আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ: সালাহউদ্দিন

জমজমাট বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ইতি হচ্ছে শুক্রবার। ফাইনালে ‘অভিজ্ঞ’ জেমকন খুলনার সাথে লড়াইয়ে নামবে গোটা আসরে দুর্দান্ত খেলা তারুণ্য নির্ভর গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। রণকৌশলের জন্য টুর্নামেন্টজুড়ে বারবারই আলোচনায় এসেছে চট্টগ্রামের প্রধান কোচ সালাউদ্দিন নাম। সেই সালাহউদ্দিনই কিনা বলছেন আর কাউকে কোচ হতে বলবেন না তিনি!

কিন্তু কেনো এই হতাশা? গাজী গ্রুপের স্থায়ী চাকরি করেন তিনি, তাই টুর্নামেন্টের জন্য আলাদা কোন পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না। তার হতাশাটি ব্যক্তিগতও নয়। টুর্নামেন্টে কাজ করা অন্যান্য কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে সরাসরি অসন্তোষ জানালেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে চার ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা করে। সর্বনিম্ন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে পান ৪ লাখ টাকা করে। অথচ দলগুলো প্রধান কোচদের পারিশ্রমিক দিচ্ছে সবশেষ অর্থাৎ ‘ডি’ ক্যাটাগরির প্রায় অর্ধেক। সহকারী কোচরা পাচ্ছেন আরও কম। ট্রেনারদের ক্ষেত্রেও সম্মানীর হারটা যথেষ্ট নয়।

স্পষ্টবাদিতার জন্য বিশেষ খ্যাতি পাওয়া কোচ সালাউদ্দিন জানালেন, আমি সবসময়ই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচ তৈরি হয়, আরও প্লেয়ার আসুক যারা কোচিংয়ে। তারা যেন একটা ভালো স্ট্যাটাস নিয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে আমি খুব লজ্জিত। এই অবস্থা থাকলে কখনই কোন ছেলেকে বলবো না তোমরা কোচিংয়ে আসো।

কিছুটা অভিমান ভরা কণ্ঠেই বললেন, আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচরা হয়তো ‘এফ’ গ্রেডের মানুষ। ট্রেইনার ‘জি’, ‘এইচ’ অথবা এমন হবে আরকি।

দেশীয় কোচদের মধ্যে তাকে মনে করা হয় দারুণ মেধাবী। জাতীয় দলের কোচ নিয়োগের আগে গ্যারি কারস্টেন পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশে এসে সালাহউদ্দিনের মতো কাউকে কোচিং স্টাফের তালিকায় রাখার কথা বলে গিয়েছিলেন। সেই সালাউদ্দিনই যখন এমন হতাশ তখন কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিকের দিকে বিসিবির আলো ফেলা সময়ের দাবিই বটে।

Exit mobile version