Site icon Jamuna Television

অর্থ পাচারকারীদের নামের তালিকা হাইকোর্টে; আছে ব্যাংকের এমডি-পুলিশ-গাড়িচালকের নাম

বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নামের তালিকা হাইকোর্টের কাছে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই তালিকা চেয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জমা দেয় দুদক ও রাষ্ট্রের অন্যান্য পক্ষ। এ সময় প্রতিবেদনে পুরোনো তথ্য থাকায় দুদকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে, আদালতে দাখিল করা অর্থ পাচারকারীদের তালিকা যমুনা নিউজের কাছে এসেছে। এই তালিকায় আছেন সরকারি-বেসরকারি শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে গাড়িচালকের নামও। তালিকায় আছেন-

এর আগে, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ অর্থ পাচারকারীদের একশ নামসহ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় হাইকোর্টে। তদন্ত সংস্থা সিআইডি জানিয়েছে, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ সাতজন হ্যাকারদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কায় অর্থ পাচার করেছে। শুধু সম্রাট এবং এনামুল হক আরমানই ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯১ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছে।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চেয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এরপর হাইকোর্টের আদেশের জবাব তৈরি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা। সর্বশেষ গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে দুদক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও এনবিআরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version