Site icon Jamuna Television

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আলোচিত ও বহুল প্রতীক্ষিত করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দ্যা গার্ডিয়ান, বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ খবর নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) এ টিকা দেশটিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ বহুল আলোচিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকাটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকাকে করোনা প্রতিরোধে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কারণ, এরইমধ্যে স্বীকৃতি পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার তুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রদান করা অনেক সহজসাধ্য। যেখানে ফাইজারের টিকাটি সংরক্ষণে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় সেখানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই সংরক্ষণ করা সম্ভব।

ফাইজারের মতো অক্সফোর্ডের টিকারও দুটি করে ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান তিন সপ্তাহ। অক্সফোর্ডের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান চার সপ্তাহ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদন করছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যুক্তরাজ্য সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ১০০ মিলিয়ন ডোজের আগাম অর্ডার করে রেখেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকা ভারতে উৎপাদন করবে সেরাম। এর অনুমোদন চেয়ে ইতিমধ্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতে টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের মানুষও তা পাবে। সেক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৮ বছরের উপরের বেশিরভাগ নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে।

Exit mobile version