Site icon Jamuna Television

সাদুল্লাপুরে দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় প্রতিবাদ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে দোকান কর্মচারী হ্নদয় খান ওরফে তাহারুলকে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে হয়রানী ও তড়িঘড়ি করে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

রোববার দুপুরে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাব ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তাহারুল বলেন, ‘ধাপেরহাটের গোবিন্দপুর গ্রামের নাজির হোসেন ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো।

নাজির হোসেন ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম এর আগে দোকানে ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে পুলিশকে সংবাদ দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। এছাড়া ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে তাতে অশ্লীল ছবি পোষ্ট করে থানায় অভিযোগের ঘটনাও মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

পরপর তাকে হয়রানীর চেষ্টায় ব্যর্থ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নাজির ও তার স্ত্রী হালিমা। সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ এনে হালিমা বেগম তাহারুলকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো। মূলত তাকেসহ তার পরিবারকে উচ্ছেদ করতেই পরিকল্পিতভাবে নাজির হোসেন তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করে। আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলামকে।

তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে এসআই শহিদুল ইসলাম মামলা থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য দোকান মালিকের সাথে কথা বলে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এরপর এসআই শহিদুল আরও টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তার পরিবার। পরে বাদি পক্ষের কাছে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে তড়িঘড়ি করে গত ১ জানুয়ারি আদালতে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

সংবাদ সম্মেলনের সময় তাহারুল ইসলামের বাবা আবদুল আজিজ ও মা মোছা হাসিনা বেগম মিথ্যা মামলার ঘটনাসহ নাজির হোসেন ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমের নানা হয়রানী ও অত্যাচার এবং তাদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের অপতৎপরতার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে মামলার অধিকতর তদন্তের দাবিসহ এসআই শহিদুল ইসলামের পক্ষপাতিত্ব ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানান ভুক্তভোগীরা।

তবে অভিযোগের বিষয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

Exit mobile version