Site icon Jamuna Television

পত্রিকা আসলগুলো লেখে না, আমার কথা বিকৃত করে: মির্জা কাদের

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে পাগল ও উন্মাদ বলেছেন তিনি গোপালগঞ্জের এমপি।

তিনি বলেন, যেখানে ৯৯ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ করেন সেখানে তিনি তো নিজের যোগ্যতায় এমপি হননি, আওয়ামী লীগ করেন সে কারণে এমপি হয়েছেন। তিনি আগে মন্ত্রী ছিলেন এবার মন্ত্রীও হতে পারেননি, কেন বাদ পড়েছেন? দায়িত্বশীল নেতাদের উচিৎ খবর নিয়ে কথা বলা।

মির্জা বলেন, নজরুল ইসলাম বাটু নামে একজন টক শোতে বলেছেন, জামায়াত-বিএনপি’র ভোট পাওয়ার জন্য পরাজয়ের ভয়ে মির্জা এসব বলছেন। ভাগ্য ভালো আপনি এমপি হয়েছেন, আমার হয়তো সে ভাগ্য এখনও হয়নি। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে আগামীতে জিততে হলে আরও সর্তক হতে হবে। নিজের বউকে সামলাতে হবে। সাথে যারা চলে, তাদের ওপর নজর রাখতে হবে, কে কোথায় থেকে মাশোয়ারা নেয় সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

রোববার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯নং ওয়ার্ড হাজীপাড়ায় এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আবদুল কাদের বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার সাথে নাই, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমার সাথে নাই, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ আমার সাথে নাই, ডিসি ও এসপি আমার সাথে নাই। তবে আমার সাথে জনগণ আছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন আমি অসুস্থ মরে যাবো। এ কথাগুলো শুনলে আমি দুর্বল হয়ে যাই। তোদের ওপর আল্লাহর গজব পড়ুক। কেন্দ্রীয় থেকে এ পর্যন্ত যারা এগুলো করছে। চার দিকে বারুদের গন্ধ পাই, অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনি, যেকোনো সময় আমার জীবন বিপন্ন হতে পারে। আপনারা আমাকে কবর দিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, পত্র পত্রিকা আসলগুলো লেখে না, এডিট করে আমার কথা বিকৃত করে। এগুলো প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মন্ত্রীর নিকট পাঠিয়ে আমার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছে। পনের আনা মানুষ আমার প্রশংসা করে এক আনা মানুষ আমার সমালোচনা করে। আমি নির্বাচনকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন বলেছেন সে চাকরি এখন কোথায়? এ কথা বললে আমি পাগল, উন্মাদ। শরম যদি লাগে গো ঘোমটা দিয়ে চল গো… (বলে একটা ছন্দ বলেন মির্জা)। কাদের সাহেব আমাকে এগুতে দেননি। অসুস্থ হলে ঢাকায় ভর্তি হতে গেলে তিনি আমাকে চট্টগ্রাম ভর্তি হতে বলেন। ঢাকায় ভর্তি হলে যদি আমি বড় নেতা হয়ে যাই। নোয়াখালীতে একরাম চৌধুরী, ফেনীতে নিজাম হাজারী ফেয়ার ভোটে জামানত ফেলে আমি হিজরত করে এ দেশ ছেড়ে চলে যাবো। নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার আজ ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতাদের অনেকের গায়ের জোর ও বল সব সময় থাকবে না।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার আবেদন, আপনার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, আপনি পারবেন এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার দিতে। সম্রাট, জিকে শামীম ও পাপিয়াদের পৃষ্ট পোষকদের বিচার করতে হবে। তা হলে দেশে শান্তি আসবে, দেশ স্বাভাবিক হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়তে পারবো।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সব বেঈমান আর মুনাফেকে ভরে গেছে। এরা আমার ভোটের চিঠিগুলোও বিলি করেনি। গত শনিবার এক মহিলা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, প্রশাসন মোবাইল ট্র্যাকিং করে সব তথ্য বের করেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাহলে ওই মহিলা কত শক্তিশালী ক্ষমতাধর।

Exit mobile version