Site icon Jamuna Television

বান্দরবানের সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর বান্দরবানের টুরিস্ট রিসোর্ট হিসেবে খ্যাত সাইরুর বিরুদ্ধে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে। ভ্যাট আইনে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরে এই মামলাটি করা হয়। মামলা নং ৩৫৯/২০২০।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ৩০ নভেম্বর ২০২০ সাইরু রিসোর্টে অভিযান চালায়। অভিযানে গোয়েন্দারা রিসোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে কম্পিউটার থেকে তথ্য ও অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করে।

এই অভিযানের সূত্রে দীর্ঘ তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ চূড়ান্ত করা হয়। এই মামলাটি চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার বিচারিক প্রক্রিয়ায় ন্যায় নির্ণয়ন করবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁকিকৃত টাকার দ্বিগুণ জরিমানা হতে পারে।

তদন্ত অনুসারে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বান্দরবান ভ্যাট অফিসে তাদের প্রকৃত বিক্রির হিসাব গোপন রেখে রিটার্ন পেশ করে আসছিল। ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে তাদের প্রকৃত বিক্রয় হিসাব উদ্ধার করা হয়।

তদন্তে দেখা যায়, সাইরু ২০১৮ সালের নভেম্বর হতে ২০২০ এর অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ মাসে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী সময়মতো ভ্যাট না দেয়ায় ২% হারে ৪২ লক্ষ টাকার সুদ প্রযোজ্য হবে। উক্ত ২৪ মাসে সর্বমোট ফাঁকি হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।

তদন্তে আরও দেখা যায় যে, সাইরু গেস্টদের নিকট থেকে চালানের মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এই টাকার একটা বড় অংশ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। তবে করোনার সময়ে এপ্রিল/২০২০ থেকে জুলাই/২০২০ পর্যন্ত ৪ মাস রিসোর্ট বন্ধ ছিল। তদন্তে ওই মাসগুলোর ভ্যাটের হিসাব ধরা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটি গড়ে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা ভ্যাট দিয়ে রিটার্ন দাখিল করে আসছিল। তদন্ত অনুসারে সাইরু রিসোর্টের প্রতি মাসে গড়ে ১০ লক্ষ টাকা ভ্যাট প্রদেয় হয়। সেই হিসাবে তারা দশ ভাগের এক ভাগ ভ্যাট দিত।

ভ্যাট গোয়েন্দার কাছে গোপন সংবাদ থাকায় ঢাকা থেকে গোপনে বান্দরবানে গিয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। সংস্থার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদ এতে নেতৃত্ব দেয়। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা রিসোর্টের কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে আনার জন্য চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করেন।

ইউএইচ/

Exit mobile version