Site icon Jamuna Television

পি কে হালদারের দুর্নীতির সাথে ৬২ জনের যোগসূত্র পেয়েছে দুদক

পিকে হালদারের অনিয়ম দুর্নীতিতে ৬২ জনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। আর এদের মাধ্যমেই অর্থ লোপাট করেছে পিকে হালদার।

বৃহস্পতিবার পিপলস লিজিং’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমডি সামী হুদাসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত পি কে হালদারের ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।

দুদক সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানিয়েছেন, তদন্তে প্রাথমিকভাবে ৬২ জনের নাম এসেছে। এরা পিকে’র সহযোগী কিংবা লোপাট হওয়া টাকার সুবিধাভোগী। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। যাদের মধ্যে ছিলেন পিপলস লিজিংয়ের এমডি সামী হুদা। তিনি দাবি করেছেন, তার সময়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি।

এর আগে বুধবার পিকে হালদারের কথিত বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে রিমান্ডে নেয় দুদক। বাকি সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে দুদক।

গত ১০ ডিসেম্বর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ১৪ জানুয়ারি সামী হুদাসহ পিপলস লিজিং এর ৪ কর্মকর্তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। তলব করা অন্যান্যরা হলেন পিপলস লিজিং’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, হেড অব ক্রেডিট মাহামুদ কায়সার এবং সিএফও মানিক লাল সমাদ্দার।

উল্লেখ্য, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদারের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি সামনে এলে মাঠে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। শুরু হয় তদন্ত। বেরিয়ে আসতে থাকে অনেকের সম্পৃক্ততার কথা।

Exit mobile version