Site icon Jamuna Television

খুবি’র ২ শিক্ষককে অপসারণ ও ১ শিক্ষককে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত

দুই শিক্ষককে অপসারণ ও এক শিক্ষককে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন শিক্ষক বলছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত অমানবিক, প্রহসন ও উদ্দেশ্যমূলক।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা তথ্য প্রদান, কুৎসা রটানো ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজলকে বহিস্কার, বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তি শুক্লা কাবেরিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।

আলাদা তিন চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমতের নামে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন। উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ফেসবুক পেইজে আপত্তিকর মন্তব্যের পর গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় এমন সিদ্ধান্ত।

অভিযু্ক্ত তিন শিক্ষক জানান, ১৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত তারা চিঠিতে জেনেছেন পরদিন। মাত্র একদিনের ব্যবধানে স্পর্শকাতর এমন নোটিশের জবাব দেয়া বেশ দুস্কর। তাছাড়া তাদেরকে আত্মপক্ষ সমথনের সুযোগও দেয়া হয়নি।

বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম বলেন, সবগুলোই আমি বিস্তারিত বর্ণনাসহ দিয়েছি। আমার চিঠিগুলো পড়া হলে এরকম সিদ্ধান্ত আসতো না। আমার এই শাস্তি আমার প্রাপ্য নয়।

শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য ও স্বাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল বলেন, আমাকে অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার অজ্ঞাতে অসাক্ষাতে সাক্ষী নেয়া হয়েছে। আমি চিঠি দিয়ে তদন্ত কমিটিকে বলেছি যেসব ব্যক্তিদের থেকে আমার অজ্ঞাতে সাক্ষী নেয়া হয়েছে তাদের জেরা করার সুযোগ দেয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে এটা নাকি আমার ঔদ্ধত্য।

তবে বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরপেক্ষ তদন্ত ও সিন্ডিকেটের সকলের মতামতের ওপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে আত্মপক্ষ সমথনের সুযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ১৮ তারিখে আমরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে দিয়েছি। ২১ তারিখের মধ্যে আমরা তাদের জবাব দিতে বলেছি। সিন্ডিকেটে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বহিস্কার করার বা শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে এই শিক্ষকদের বহিস্কার ও অপসারণ করার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version