Site icon Jamuna Television

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ শতাংশ শিক্ষক ছুটিতে; অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ শতাংশ শিক্ষক আছেন ছুটিতে। এদের অনেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিদেশে থেকে যাওয়া শিক্ষকরা বলছেন, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা আর ভালো কাজের সুযোগের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেই তারা থেকে গেছেন। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বও করছেন বলেও দাবি তাদের।

ইউজিসি’র সদস্য ড. অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেছেন, দেশের নানা সীমাবদ্ধতা দেখে অনেকে থেকে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।

ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরীর মতে, সমৃদ্ধি আর সচ্ছলতার টানেই অনেক শিক্ষক বিদেশে থেকে যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার সময় ড. আশরাফ দেওয়ান পিএইচডি করে জাপান থেকে দেশে ফেরেন। ৯ বছর শিক্ষকতাও করেন। পরে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পান। সেখানে যোগ দেয়ার কয়েক বছর পর আবার দেশে ফেরেন। এ দফায় তিন বছর অধ্যাপনা করেন। অপরাজনীতির শিকার হয়ে অস্ট্রেলিয়াতে থেকে যান।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ৪৩ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ হাজার ২৭ জন শিক্ষক ছুটিতে আছেন। প্রত্যেক বছরই ছুটি নেবার প্রবণতা বাড়ছে।

অধ্যাপক ড. আলমগীর যিনি ইউজিসির একজন সদস্য। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি নিজেও জাপানে উচ্চ শিক্ষা শেষে দেশে ফিরে আসেন। দেশপ্রেমের কারণেই তিনি মাতৃভূমিতে ফিরেছেন বলে তার অভিমত।

শিক্ষকদের বিদেশে পড়তে গিয়ে থেকে যাবার প্রবণতা পুরাতন। বর্তমানে তা বেড়েছে বলে মনে করেন সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান, প্রফেসর ইমেরিটাস ড. অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী। শিক্ষকদের এদেশে মূল্যায়ন না হওয়াটাও দায়ী বলে মনে করেন তিনি। তিনি নিজেও বিলেতে গবেষকের পেশা ছেড়ে দেশে স্থায়ী হন নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে। গবেষক ও শিক্ষকরা বলছেন, এই সংকটের সমাধান সহসায় হবে না।

শিক্ষকদের দীর্ঘমেয়াদী ভারসাম্যহীন ছুটিও দিচ্ছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার বাইরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই শিক্ষা-ছুটির কারণেই সিনিয়র শিক্ষকের ঘাটতি নিয়েই পড়ালেখা চলছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version