
উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টানা চারদিন আধিপত্য বিস্তার করলেও শেষ পর্যন্ত তিন উইকেটের লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুমিনুল বাহিনীকে। সাকিব আল হাসান প্রথম ইনিংসে ব্যাট করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ইনজুরির কারণে তাকে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। ম্যাচের পঞ্চম দিনে রেকর্ড বইয়ের হিসেব পাল্টে দেয়া ক্রিকেট খেলেছে উইন্ডিজ। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলে ছিল ক্যাচ মিসের মহড়া। বল হাতে সুবিধা আদায় করতে একেবারেই ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলাররা। ধরতে গেলে এক মায়ার্সের কাছেই হেরেছে টাইগাররা।
টাইগারদের এই হারের কারণ বিভিন্ন জন দেখছেন বিভিন্নভাবে। বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটারই মনে করেন উইন্ডিজের এই জয় মিরাকল ছাড়া আর কিছুই নয়। এক সময়কার জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ধীমান ঘোষও। কোনোরকম সংকোচ ছাড়াই যমুনা নিউজকে বলে দিলেন ভাগ্যের জোরেই এই ম্যাচে জিতেছে উইন্ডিজ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে খারাপ খেলেছে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়, তবে আসল ব্যাপার হলো উইন্ডিজ এই ম্যাচে বেশি ভালো ক্রিকেটে খেলে ফেলেছে। অভিষেকেই একজন ব্যাটসম্যান ২০০ রান করে ফেলবে এটা আসলেই সবার চিন্তার বাইরে ছিলো আর মিরাক্কেল এখানেই ঘটেছে। তবে এই হারের দায় কারও উপর না চাঁপিয়ে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত ক্রিকেটারদের।
প্রথম ইনিংসে সাকিব ব্যাট করলেও পরে ইনজুরির কারণে মাঠ থেকে উঠে আসতে হয়েছে টাইগার অলরাউন্ডারকে। সে মাঠে থাকলে কী এই টেস্টের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো ? এমন প্রশ্নের জবাবে ধীমান বলেন, সাকিব মাঠে থাকা মানে পুরো টিম উজ্জীবিত থাকা, হয়তো সে মাঠে থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতেই পারতো তবে সাকিবের না থাকাকে ইস্যু করা যাবে না। এসব বিষয় নিয়ে ইস্যু তৈরি করলে হয়তো দলের পারফরমেন্স খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হবে না।
টাইগারদের ক্যাপ্টেন মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে যমুনা নিউজকে তিনি বলেন ,আমি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে বলছি না। তবে টেস্টে অধিনায়কত্ব করার জন্য দলে কিন্তু অপশন রয়েছে। মুমিনুলের দিক থেকে সে তার সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা করেছে। আসলে বাংলাদেশ কিন্তু এখন আর হারের জন্য বা ড্র করার জন্য টেস্টে মাঠে নামে না। এখন টাইগাররা মাঠে নামে জয়ের জন্যই। আমার বিশ্বাস ছিলো শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতবো। কিন্তু যা ঘটলো সেটাকে অঘটন ছাড়া আর কিছুই না।
জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার অঘটনের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন যমুনা নিউজকে, তিনি বলেন, অঘটন যে বলছি তার কারণও কিন্তু আছে, পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে মায়ার্সকে ফেরানোর। কিন্তু প্রতিটা সুযোগই মিস করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে দেখা যায় একটা ব্যাটসম্যান এতগুলো লাইফ পাবার পরেও যদি কিছু না করতে পারে তাহলে সেটা হতো তার জন্যই ক্রাইম। আবারও বলছি আমরা আসলেই ভাগ্যের কাছেই হেরেছি। আমাদের দিনটা প্রচণ্ড খারাপ ছিল। আর তাদের দিনটা ছিল অসাধারণ।



Leave a reply