Site icon Jamuna Television

ফলোঅন এড়াতে পাড়বে তো বাংলাদেশ?

মিরপুরের পিচ আসলে কি? ব্যাটিং বান্ধব নাকি বোলিং। এই প্রশ্ন এখন সবার মনেই, বিশেষ করে বাংলাদেশ যখন ফিল্ডিং করছিলো, তখন মনেই হচ্ছিলো এই পিচটা আসলেই ব্যাটিং পিচ।

এর কারণ তখন উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের কোনোভাবেই আউট করতে পারছিলেন না টাইগার বোলাররা। কোন রকম বিপদেও ফেলতে পারেননি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। বোনার, জোসেফ ও সিলভারা ব্যাট করে গেছেন স্বাভাবিক ভাবেই। দলের রান দ্রুত বাড়াতে এটাকিং ক্রিকেট খেলতে গিয়ে তিন তিনটে ব্যাটসমস্যান সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হয়েছেন মিরাজ তাইজুল ও রাহির বলে। তবে একটা বিষয় দ্রুত রান তুলতে গিয়ে যদি তখন এটাকিং ক্রিকেট না খেলতেন তাহলে হয়তো উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের আউট করতে পারতেন না বাংলাদেশের বোলাররা।

বোনার আউট হয়েছেন ৯০ রান করে। তাও বহু কষ্টের পর মিরাজের বলের লাইন মিস করে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন তিনি। পরে অবশ্য রাহি আর তাইজুল মিলে শেষে দ্রুতই উইন্ডিজের সব ব্যাটারকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু ততক্ষণে তো আর শেষ রক্ষা হয়নি। ৪০৯ রান করে ফেলেছে প্রতিপক্ষ।

তা না হয় করেছে, কিন্ত উইকেটে তো ব্যাটারদের জন্য কিছু আছে। তাই টাইগারদের ব্যাটসম্যানদের কাছে এই রান খুব বড় কিছু নয় এমটাই ভেবেছিলো ভক্তরা। কিন্তু সাধারণের সেই ভাবনার মুখে ছাই দিয়ে, যখন মাত্র ১১ রানে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন তখন কিছুটা চিন্তা পরেছিলো সবাই। হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টও তার বাইরে ছিলো না।

পুরো ওয়ানডে সিরিজে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা সৌম্যকে এবার টেস্টে খেলানো হলো ওপেনিংয়ে। তাই একজন অতি সাধারণ ক্রিকেটারের মত আচরণ করেই আউট হলেন তিনি। তাও আবার শূন্য রানে। অন্যদিকে ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হাসান শান্তরও একই অবস্থা। তিনিও উইকেট দিয়ে আসলেন গ্যাবরিয়ালকে। ব্যক্তিগত ৭ রানে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।

অন্যদিকে মুমিনুলকে সাথে নিয়ে তামিম কিছুটা এগুলেও তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। দলের ৬৯ রানের সময় কর্নওয়ালের বলে সিলভাকে ক্হাযাচ ধরা শিখিয়েই মাঠে ছেড়েছেন মাত্র ২১ রানে। ওই যে এক ইনিংসে ভালো রান করলে আরেক ইনিংসে কম করলেও কাঠ গড়ায় দাঁড় করানো হয় না তাই দায় কম ক্রিকেটারদের।

এবার পালা তামিমের, ব্যক্তিগত ৪৪ রানেই তিনিও ফিরে গেলে বাংলাদেশের পরিণত চার উইকেটে ৭১ রান। এরপরেই নতুন প্রশ্ন ডানা মেলে টাইগার ভক্তদের মনে, ফলোঅন এড়ানো যাবে তো? প্রশ্নের উত্তরে ব্যাট হাতে ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম ও মিথুন তৃতীয় দিনে কীভাবে উত্তর দেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

দ্বিতীয় দিন শেষে উইন্ডিজের দেওয়া ৪০৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ৪ উইকেটে ১০৫ রান। এখন পর্যন্ত ৩০৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে টাইগারদের দরকার ১০০ রানেরও বেশি, হাতে উইকেট আছে ছয়টি। তার মধ্যে রাহি, তাইজুল বাদ দিলে মুটামুটি ব্যাট করতে পারেন চার জন।

Exit mobile version