Site icon Jamuna Television

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন এবং দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে লাইভ প্রচার করে প্রবাসীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় হাই কমিশন চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের বাণী পাঠ করেন উপ-হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপির বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সেলর-২ মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল। আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপির বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর তাহমিনা বেগম।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র গর্বিত বাঙালি জাতিরই আছে। এই ভাষা সংগ্রামের অর্জনেই লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি অর্জন করে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভাষা সংগ্রামের রক্তাক্ত অধ্যায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তারই নেতৃত্বে ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি আজ দৃশ্যমান। তিনি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

অপরদিকে, মালয়েশিয়া ইউনেস্কো যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে মালয়েশিয়া সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং হাইকমিশনার গোলাম সরোয়ার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রেক্ষিত এবং বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়।

ইউএইচ/

Exit mobile version