Site icon Jamuna Television

সীমানা পিলার দিয়েও দখল মুক্ত রাখা যাচ্ছে না ঢাকার চার নদী

সীমানা পিলারে স্থায়ী হচ্ছে ঢাকার চারপাশের চারটি নদী। পিলারের ভেতরের জায়গা নদীকে বুঝিয়ে দিতে চলবে উচ্ছেদ। দখল করা ভুমি খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনা হবে নদীর। যদিও অনেক জায়গায় দখলকারিদের ছাড় দেয়ার অভিযোগ করেছেন পরিবেশ আন্দোলন কারিরা। পিলারের ভেতরের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমেও নদী দখলের অভিযোগ তাদের। দুষণ রোধে কারখানায় ইটিপি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে বিআইডব্লিউটিএ।

বুড়িগঙ্গার সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্বজিত দাসের জীবন। বদলেছে বুড়িগঙ্গা, বদলেছে বিশ্বজিতের পেশা। ঢাকা পৃথিবীর তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল নগর। গত পঞ্চাশ বছরে এখানে যথেচ্ছভাবে তৈরি হয়েছে লাখ লাখ ভবন।কামরাঙ্গীরচরের উত্তরে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গার আদি ধারা। লোহার পুল পর্যন্ত ময়লার ভাগাড়। তারপর হঠাতই চিহ্ন নেই নদীর। পাঁচ দশকে এই নগরীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে কমপক্ষে পাঁচটি নদী।

তবে আশার কথা নদী বাঁচাতে বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সাল থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু করেছে দখল উচ্ছেদ। ঢাকার চারপাশে চার নদীর সীমানা নির্ধারনে স্থাপন করা হচ্ছে দশ হাজার সীমানা পিলার। এই সীমানা পিলারে কি বাঁচবে নদী? দখল উদ্ধারের পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবতার অনেক ফারাক দেখছেন পরিবেশ আন্দোলনকরিরা। নদী বাঁচাতে স্বাভাবিক রাখতে হবে পানি প্রবাহ। রোধ করতে হবে দুষণ। কবে শুরু হবে এসব কার্যক্রম? তবে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো প্রাণ ফিরে পেলে প্রাণ পাবে রাজধানীও।

Exit mobile version