Site icon Jamuna Television

মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনাকে অপহরণ করেছিলেন তার আইনজীবী, সাবেক স্ত্রীর অভিযোগ

প্রায় তিনমাস হয় দুনিয়ে ছেড়ে চলে গেছেন ফুটবল বিশ্বের ঈশ্বর ম্যারাডোনা। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও থামছে না। এই কিংবদন্তির মৃত্যুর পর বিভিন্ন মাধ্যমে নানা কথা শোনা গেলেও এখন শোনা যাচ্ছে মৃত্যুর আগে নাকি ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা তাকে অপহরণ করেছিলেন। এমন কথা একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন ফুটবল কিংবদন্তির সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফান।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ফোন করে ক্লদিয়া বলেন, মোরলা আমাকে সিনেমার খারাপ চরিত্রগুলোর মতো দেখাতে চায়। আমি সত্যিই এমনটি নই। এটি ডি আলেসান্দ্রোর ভালোই জানা। অথচ আলেসান্দ্রো এমন একজন ব্যক্তিকে (মোরলা) রক্ষা করছেন যিনি ম্যারাডোনাকে অপহরণ করেছিলেন।

প্রয়াত ম্যারাডোনার সম্পর্কে কিছু তথ্য দিতে গিয়ে ক্লাদিয়া বলেন, একটি মামলার কারণে আমি ম্যারাডোনার ওপর রেগে ছিলাম। কিন্তু পরে ঠিকই আমাকে দেখে সে জড়িয়ে ধরে। আমার সঙ্গে নাচে। দিনটা উপভোগ করে। এটা কেউ জানত না।

বিবাহ বিচ্ছেদের পরও ম্যারাডোনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন ক্লদিয়া। তিনি বলেন, আমি দিয়েগোর সঙ্গে কথা বলতাম। যদিও আমরা তা প্রকাশ্যে আনিনি। আমাদের মধ্যে মামলা ছিল। আমরা সব কিছু খুব ভালোভাবে ভাগ করে নিতে জানতাম।

তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরেই তার আইনজীবীর মোরলার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিলো আর মোরলাই ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য তার চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত লা প্লাতা আইপেনসা ক্লিনিককে দায়ী করে অভিযোগ এনেছিলেন।

ক্লদিয়া ভিল্লাফানেকে ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা। ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। ক্লদিয়ার গর্ভে জন্ম নেয় ম্যারাডোনার দুই কন্যা দালমা ও জিয়ানিন্না। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানোর সময় ম্যারাডোনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ভিল্লাফানের।

Exit mobile version