Site icon Jamuna Television

কেনিয়ায় আবারও কৃষিক্ষেত দখলে নিয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল

কেনিয়ায় আবারও কৃষিক্ষেত দখলে নিয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল

আবারও পঙ্গপালের আক্রমণ কেনিয়ায়। এবারের টার্গেট দেশটির রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চা-বাগান ও ভুট্টা ক্ষেত। মাইলের পর মাইল পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে কোটি কোটি পতঙ্গের ঝাঁক। এমন ভয়াবহ হানায় দিশেহারা চাষীরা।

পঙ্গপাল ভুট্টা খেত আর চা বাগান জুড়ে বিচরণ করছে কোটি কোটি পতঙ্গ। যেকোন উপায়ে পঙ্গপাল তাড়াতে মরিয়া চাষীরা। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিউদ্যোগেও চলছে ফসল রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা। চাষিরা বলছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না গেলে কষ্টের ফসল পুড়োটাই চলে যাবে পতঙ্গের পেটে।

একজন চাষী জানান, সকালে উঠেই দেখলাম আমার জমি পঙ্গপালের দখলে। বড় থালা নিয়ে তাদের তাড়া করি। কারণ এগুলো থেকে মুক্তির আর কোনো উপায় জানা নেই। জমির ভুট্টা আর কলা রক্ষা করতেই হবে। নয়তো পরিবারের খাবার জুটবে না।

অন্য আরেক চাষী বলেন, গতকাল রাতে এগুলো এই গ্রামে ঢুকেছে। সারা রাত আতঙ্কে কেটেছে। আমার আয়ের আর কোনো উৎস নেই। সরকার কীটনাশক স্প্রে শুরু করেছে। অন্তত ৭দিন চা-পাতা তোলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যাতে কীটনাশকের প্রভাবটা শেষ হয়ে যায়।

পঙ্গপালের হানা থেকে রক্ষায় কেনিয়াকে সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এফএও (FAO)। তবে আরও জোরালো পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। পঙ্গপালের বিস্তার রোধ করা না গেলে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের শঙ্কা তাদের।

এ বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তা ম্যারি মাওয়াথা বলেন, এ অঞ্চল পুরোটাই কৃষি নির্ভর। এলাকার চাষীরা খুব কঠিন সময় পার করছে। সবুজ যা কিছুই পাচ্ছে, খেয়ে ফেলছে পঙ্গপাল। সত্যিই আশঙ্কা হচ্ছে এলাকার মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি।

সম্প্রতি তাপমাত্রা ও আদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কেনিয়ার পাশাপাশি পঙ্গপালের উপদ্রব বেড়েছে আফ্রিকার ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতিতে। পূর্ব আফ্রিকায় গেল বছর ৭ দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পঙ্গপালের আক্রমনের শিকার হয়েছিলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুধু কেনিয়াতেই নষ্ট হয় ২ লাখ একরের বেশি ফসল।

Exit mobile version