Site icon Jamuna Television

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত: আইইডিসিআর

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত: আইইডিসিআর

অপেক্ষাকৃত দ্রুত বিস্তারকারী করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছিলেন। এছাড়া ঢাকা ও সিলেটেও এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এ কারণে যুক্তরাজ্য থেকে যারা দেশে ফিরছেন তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। অন্যথায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পরবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৮৩টি দেশে করোনার নতুন এই স্ট্রেইনের সংক্রমণ হয়েছে। যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইন আরও বেশি সংক্রামক।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন বলেন, এই নতুন স্ট্রেইনের কারণে শনাক্তের হার বাড়ছে কি না তা এখনই বলা কঠিন হবে। এর জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যয়বহুল হলেও ভাইরাসটির রূপ পরিবর্তন হচ্ছে কি না তা জানতে সরকারের নিয়মিতভাবে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা উচিত।

এদিকে মাস্ক পরার বিষয়ে মানুষের উদাসীনতা, সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন স্ট্রেইন বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন এই স্ট্রেইন আগের স্ট্রেইনের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর করোনার নতুন ধরনটি অত্যন্ত দ্রুত যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের বিজ্ঞানীরা অন্য সব স্ট্রেইনের তুলনায় যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইনটিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের এই নতুন স্ট্রেইন হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় এই স্ট্রেইনটি ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি তাড়াতাড়ি সংক্রমিত করছে।

Exit mobile version