Site icon Jamuna Television

ভিসি’র বিদায় লগ্নে বিএসএমএমইউতে পদোন্নতির হিড়িক!

ভিসি'র বিদায় লগ্নে বিএসএমএমইউতে পদোন্নতির হিড়িক!

মেয়াদ শেষের চার দিন আগে তড়িঘড়ি চিকিৎসক-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। শনিবার প্রায় ৩০ জন চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। চাকরি স্থায়ীকরণে দেড় হাজারের বেশি কর্মচারীরও সাক্ষাৎকার নেয়া হবে বলেও জানা গেছে।

এদিকে ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে ভিসি’র মেয়াদ। তবে ভিসি দাবি করেছেন, আইন মেনেই নিচ্ছেন সাক্ষাৎকার।

পদোন্নতি পেতে যাওয়া অন্তত ৩০ জন চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার শুরু হয় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায়। বিদায় লগ্নে কেন এই সাক্ষাৎকার? জানতে ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সাথে দেখা করতে চাইলে বাধার মুখে পড়ে যমুনা টেলিভিশন।

এরপরই নিয়ে যাওয়া হয় প্রক্টরের রুমে। তিনিও দাবি করেন চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি হচ্ছে না, এটি চলমান প্রক্রিয়া। অপেক্ষা করতে বলেন ভিসি’র জন্য।

এদিকে একে একে আসতে থাকেন পদোন্নতি প্রত্যাশী চিকিৎসকরা। তাদের কাছেও প্রশ্ন ছিল মেয়াদ শেষের চারদিন আগে পদোন্নতির সাক্ষাৎকার কতটা ন্যায়সঙ্গত। এমন প্রশ্নে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার্কুলার হয়েছে, এডমিট কার্ড ছাড়ছে, পরীক্ষার জন্য কল করা হয়েছে, আমি পরীক্ষা দিতে আসছি। এখানে নৈতিকতার প্রশ্ন কেন আসছে আমি জানি না।

চিকিৎসকদের পাশাপাশি চাকরি স্থায়ীর জন্য সাক্ষাৎকার নেয়া হয় কর্মচারীদেরও। এদের কারো কারো সরল স্বীকারোক্তি। স্বজনপ্রীতি ছাড়া কিছুই হয় না এখানে।

এক কর্মকর্তা জানান, যারা ইন্টারভিউ দিচ্ছে সবার গার্জেন আছে। টাকার কথা এখানে চলবে না, এখানে চলবে টেলিফোন। যদি কিছু হয়তো, সেটা টেলিফোনে। এছাড়া আর কিছুই করার নেই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করলেন ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ডাক্তার-কর্মচারীদের চাপের মুখেই সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনি। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

উপাচার্য জানান, এই ইন্টারভিউ’র পর সেটা যাবে সিন্ডিকেটে। সিন্ডিকেট যদি মনে করে তারা এটি বাতিল করবে, তারা এটি বাতিল করবে। আর যদি সিন্ডিকেট মনে করে এটি ঠিক আছে তারা নিয়োগ দেবে। আমরা নিয়োগকর্তা নয়। আমরা প্রসেসটা এগিয়ে দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ইন্টারভিউ নিচ্ছি। ইতোপূর্বে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যা চলমান প্রক্রিয়া।

দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি’সহ নানা অভিযোগ ছিল এই ভিসি’র বিরুদ্ধে।

Exit mobile version