Site icon Jamuna Television

নৌকার মাঝির ভয়ে আ’লীগের অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা এলাকা ছাড়া বলে অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে আ. রাজ্জাক ও তার সমর্থকদের তাণ্ডবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদেরের অর্ধশতাধিক কর্মী সমর্থক এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সোমবার দুপুরে মাসুদ রানা নামে এক যুবক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আ. রাজ্জাকের সমর্থকদের মারধর ও হুমকি-ধামকীতে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে চান তারা।

মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার আগে পুটিখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘মাওলানা আব্দুল কাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হলে ভালো হয়’ কয়েকটি চায়ের দোকানের আড্ডায় এমন কথা বলেছি। তবে আব্দুল কাদের নৌকার টিকিট পাননি ও বিদ্রোহী প্রার্থীও হননি। ১৩ মার্চ চেয়ারম্যান পদে আ. রাজ্জাক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ওই দিন রাতেই আ. রাজ্জাকের নির্দেশে তার কিছু সমর্থকরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে আসে। আমি টের পেয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাই। আমাকে না পেয়ে ওরা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে এলাকায় পেলে আমাকে জীবনে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। শুধু আমি নয় এলাকার রফিকুল ইসলাম শান্ত, নাহিদ হাসান, রাশেদুল ইসলাম আসাদ, আ. মোতালেব শেখ, মো. জাহাঙ্গীর শেখ, আলামিন মল্লিক, আসাদ শেখসহ অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থক আ. রাজ্জাক ও তার বাহিনীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি প্রধানমন্ত্রীকে ভালবাসি। আমরা এলাকায় শান্তিতে বসবাসের নিশ্চয়তা চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মাসুদ রানা।

জানতে চাইলে পুটিখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ. রাজ্জাক মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি সবসময় এলাকার মানুষের সুখে দুখে পাশে থাকি। আগেও যেমন এলাকা শান্ত ছিল, এখনও আছে। আমি বা আমার লোকেরা পুটিখালী ইউনিয়নের কারও উপর হামলা করেনি। কাউকে হুমকিও দেয়নি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় কিছু লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিতর্কিত করার জন্য এসব গুজব ছড়াচ্ছে।

Exit mobile version