Site icon Jamuna Television

দাদার নিষ্ঠুরতায় কংকালে পরিণত হওয়া এক কিশোরী

পূর্ণবয়স্ক নারীর ওজন মাত্র ১৬ কেজি! অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে জাপানের এক নারীর ক্ষেত্রে।

গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, জাপানি ওই নারী টিনএজের সময়টায় তার দাদার কাছে ছিলেন। কিন্তু সেই দাদা আর সবার মতো নন। আদর যত্ন দূরে থাক, খেতেই দিতেন না নাতনিকে। এমনকি কখনো চুরি করে খেতে দেখলেও প্রচণ্ড মারধর করা হতো ছোট্ট মেয়েটির ওপর। এমন পাষণ্ড দাদার হেফাজতে না খেয়ে থাকতে থাকতে মরার দশা হয় কিশোরীর। অবস্থা এক পর্যায়ে এমন দাঁড়ায় যে, তার ওজন নেমে আসে ৩৭ পাউন্ড বা ১৬ কেজিতে। দেখে মনে হবে একটি কংকাল দাঁড়িয়ে আছে সামনে।

পরবর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকদের মতে, এমন দশায় পড়েও কেউ বেঁচে থাকতে পারে সেটাই একটা অলৌকিক ব্যাপার। হাসপাতালে যাওয়ার আগে ওই নারী আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের কিছু ছবি তুলেছিলেন। প্রায় ১০ বছর পর সম্প্রতি তিনি টুইটারে হাড্ডিসার ছবিগুলো পোস্ট করেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভাইরাল হয়ে যায় তার আগের ছবি।

১০ বছর আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি। এগুলোই টুইটারে পোস্ট করেছেন সম্প্রতি।

সেই সব দিনের কথা বলতে গিয়ে বর্তমানে পূর্ণবয়স্ক ওই নারী লেখেন, আমি গোপনে যদি কিছু খেতামও তাহলে আমার পেটে লাথি মেরে খাবার বের করা হতো।

নিষ্ঠুর দাদার হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার পর অবশ্য অনেক কিছু বদলে গেছে তার জীবনে। ফিরে পেয়েছেন হারানো স্বাস্থ্য। তবে দীর্ঘ মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার তার মনে যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে তা সারিয়ে তোলা দূরহ- বলছেন চিকিৎসকরা।

ওই নারীর (বাঁয়ে) বর্তমানের ছবি

 

Exit mobile version