Site icon Jamuna Television

চিরিরবন্দরে লোহার খনির সন্ধানে জরিপ কার্যক্রমের উদ্বোধন

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের চিরিরিবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় লোহার খনির প্রাথমিক জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল থেকে জরিপ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ খনিজ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা ড. মোঃ শের আলী। আগামী দুই থেকে আড়াই মাস মাটির গভীরে ড্রিলিং এর মাধ্যমে জরিপ কার্য পরিচালনা করা হবে।

এজন্য চিহ্নিত স্থানে জরিপের সাথে জড়িত প্রকৌশলী ও কর্মীদের অস্থায়ী আবাসের ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। খনি কার্যক্রম শুভ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসুক গ্রামবাসীরা ভিড় করে।

এর আগে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ। এসময় তিনি নিশ্চিতভাবে কিছু না বলে জানান, এটা একটি নিয়মিত কার্যক্রম।

তবে এখানে খনিজ দ্রব্য পাওয়া গেলে এলাকার লোকজন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশ্বাস দিয়ে বলেন বরং লাভবান হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের দুই হাজার ফুট পর্যন্ত জরিপ কার্যক্রম চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। প্রাথমিক জরিপের পর প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

আশাব্যঞ্জক খনিজ পদার্থ পাওয়া গেলে এলাকার মানুষদের ভয়ের কোন কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করবে। আর খনিজ পদার্থ পাওয়া গেলে তথা খনি হলে এলাকার লোকজনের পাশাপাশি দেশ উপকৃত হবে।

উদাহরণ হিসাবে তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৫টি কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই খনিগুলিতে থাকা কয়লা দিয়ে পঞ্চাশ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন (পাথর) শিলা প্রকল্প দু’টি থেকে দেশের প্রথম খনিজ পদার্থ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত তা চলমান রয়েছে। সম্ভাবনাময় ফুলবাড়ী কয়লা খনি প্রকল্প উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর পর বাংলাদেশ বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)’র সার্বিক অনুসন্ধানে নবাবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়া কয়লা খনির জরিপ শেষে খনিটিতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অজ্ঞাত কারণে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু’র আগে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কিনা তথা ফাইনাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ভারতে কর্মরত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এর পর পরই শুরু হয় হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুরে লোহার খনির অনুসন্ধান কার্যক্রম। জিএসবি’র নেতৃত্বে দক্ষ দেশী প্রকৌশলীরা বের করে আনেন উন্নতমানের আকরিক লোহা।

Exit mobile version