Site icon Jamuna Television

শিশু ধর্ষণের ন্যায় বিচার পেতে বাবার আকুতি

ডাক্তারি প্রতিবেদনে অসঙ্গতির ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবা। উচ্চতর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ডাক্তারি প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং পুরো বিষয়টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে মহামান্য হাইকোর্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার বিকালে নাটোরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আবেদন জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিশুটির পিতা লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের পূর্ব হারোয়া এলাকার প্রতিবেশী চাঁন প্রামাণিকের ছেলে মাহবুর রহমান গত ২৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে তার শিশু কন্যাকে সাইকেল চালানো শিখাতে প্রথমে বাড়ির উঠোনে ও পরে চকলেট দিবে বলে ঘরের ভিতর ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে আসার পর তাকে অসুস্থ দেখালে মার জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশুটি সব ঘটনা খুলে বলে এবং পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত মাহবুর রহমান

ওই দিন বিকেলেই শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পরের দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শিখা রাণী শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। অথচ মেডিকেল প্রতিবেদনে ডাক্তারি পরীক্ষার তারিখ লেখা হয়েছে আগের দিন ২৪ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা।

শিশুটির বাবা জানান, প্রতিবেদনে Sexual assault, বুকের নীচের অংশে কালো দাগ, এবং মানসকি অবস্থা খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যাথানাশক ঔষধ গ্রহণের পরামর্শও দেওয়া হয়। কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তহছেনুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তে আসামী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, মামলার দায়ের করার পরের দিন আসামী মাহবুরকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে আদালত গত ৩০ জানুয়ারী তাকে ২৪ দিনের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন।

শিশুটির বাবা আরও জানান, অভিযুক্ত মাহবুরের মা ময়জান বেগম দীর্ঘদিন ধরে নাটোর নারী ও শিশু আদালতের সরকারি এক আইনজীবির বাসার গৃহকর্মী। এর ফলে ডাঃ শিখা রাণীকে ওই আইনজীবি এই ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করতে প্রভাবিত করতে পারে বলেও তাদের ধারণা।

ডাঃ ডলি রাণীকে মুঠোফোনে এই অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে লাইনটি কেটে দেন। পরে আরও কয়েকবার ফোন কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।

যমুনা অনলাইন: এনআই/এফএইচ

Exit mobile version