Site icon Jamuna Television

ধর্ষণের স্বীকারোক্তি আসামীর, আলামত পায়নি দাবি চিকিৎসকের

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আসামি। অথচ ডাক্তারি রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাবার কথা জানিয়েছে চিকিৎসক। এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এমন প্রতিবেদন দিয়েছেন ডাক্তার। মামলা তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পূর্ব হারোয়া গ্রাম। গেল ২৪ জানুয়ারি এই গ্রামের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি মাহবুর রহমান চকলেট দেয়ার লোভ দেখিয়ে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করে সে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খাঁন বলেন, যে আসামীকে গ্রেফতার করেছি তাকে প্রাথমিকভাবে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, আমাদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে হিসেবে আমরা তাকে কোর্টে প্রেরণ করেছি।

তবে মামলার তদন্ত নতুন মোড় নেয় শিশুর ডাক্তারি প্রতিবেদনে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডলি রাণী, ধর্ষণের আলমত না পাবার কথা উল্লেখ করে রিপোর্ট জমা দেন। যদিও প্রেসক্রিপশনে উচ্চ ক্ষমতার অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যাথানাশক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ আছে আসামিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এমন রিপোর্ট দিয়েছেন ঐ চিকিৎসক। মামলা তুলে নিতে নানাভাবে চাপও দেয়া হচ্ছে বাদিপক্ষকে।

ডাক্তারি রিপোর্টের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, আদালতে জবাব দেয়ার কথা জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক। তার পক্ষ নিয়ে কথা বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার রায় বলেন,  সে যেটা মনে করছে তার যেটা নলেজে আছে সে সেভাবে রিপোর্ট টা দিয়েছে। এখন কোর্ট যখন এই্ মামলার জন্য সাক্ষী হিসেবে ডাকবে সে সাক্ষী দিবে।

ডাক্তারি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়ে অন্তবর্তীকালীন জামিনে আছে আসামি মাহবুর রহমান। এ অবস্থায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ন্যায় বিচারের দাবিতে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে তারা।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

 

Exit mobile version