Site icon Jamuna Television

কেন্দুয়ায় সেই বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে চুরি ও স্ত্রী নির্যাতনের মামলা

স্টাফ রির্পোটার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বিজিবি সদস্য হামিদুর রহমান হাসেমের (২৮) বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজিবির ওই সদস্য কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি ১৪ বিজিবি নওগাঁ জেলার পন্তীতলায় কর্মরত।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিজিবি সদস্য হামিদুর রহমানের সাথে মাকসুদা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই হামিদুর নানা অজুহাতে যৌতুকের জন্য মাকসুদাকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ফিশারি ব্যবসার নামে তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেন। এই টাকা ফেরত না দিয়ে আবারও স্ত্রীকে টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। মাকসুদার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে নির্যাতন করে।

এ ঘটনায় হামিদুর রহমানের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার বিজিবি মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র পাঠালে ক্ষিপ্ত হয়ে হামিদুর ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। বুধবার (৫ মে) দুপুরে হামিদুর তার বড়ভাই কাশেমকে নিয়ে মাকসুদাদের বাড়িতে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।

হামিদুর রহমানের শ্বশুর মহি উদ্দিন বলেন,’বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে জোর করে নিয়ে যেতে চায় হামিদুর। যেতে না চাইলে তাকে আমার স্ত্রীর (মাকসুদার মা) সামনে মারধর করে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় আমার স্ত্রী এবং ছেলেকেও মারপিট করে। শেষে আমার ঘরে রাখা এক লক্ষ টাকা, সাত ভরি স্বর্ণ, এবং একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।’

অন্যদিকে বিজিবি সদস্য হামিদুর রহমানের বড় ভাই আবুল কাশেম খান বলেন, ‘গত দু-তিন দিন আগে হামিদুর ছুটিতে এসে বুধবার দুপুরে স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে শ্বশুরবাড়ি যায়। তার স্ত্রী আসতে রাজি হলেও বাধা দেয় তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হামিদুরের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে মারধর করে আহত করে।

মাকসুদা আক্তারের মা বেগম আমেনা সরকার বাদি হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘বিজিবি সদস্য হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এর আগে ওই বিজিবি সদস্যকে মারধরের অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version