Site icon Jamuna Television

গাছের নাম বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন; থামবে করাত, মিলবে রক্ষা?

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ নিধন করে পরিবেশ বিনষ্ট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা স্তম্ভ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্যবর্ধনের নামে গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট, পার্কিংয়ের মতো অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের কোনো যুক্তি নেই। অবিলম্বে এই কাজ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

একটি গাছের নাম বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, আরেকটির নাম বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া, যাতে রক্ষা পায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই গাছগুলো। পর্যায়ক্রমে আরও সব গাছের নামকরণ হবে বীর উত্তম, বীর প্রতীকদের নামে। পরিবেশবাদীদের ধারণা, এর ফলে থেমে যাবে প্রশাসনের করাত।

এর আগে মানববন্ধন করে ‘গ্রিন ভয়েস’ ও ‘সেভ ফিউচার বাংলাদেশ’ নামের দুটি সংগঠন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ কমপ্লেক্স প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ বন্ধের দাবি জানান তারা।

পরিবেশবাদীরা বলেন, ওয়াকওয়ের প্রশস্তকরণ, শৌচাগার, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ির পার্কিং ও শিশুপার্ক নির্মাণের নামে যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে তা নগরীর আবহাওয়াকে বৈরি করে তুলবে। অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানান তারা।

নগরবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, বিজ্ঞজনেরা জ্ঞাননির্ভর একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছিলেন। সেই মাস্টারপ্ল্যানে এই অংশে কোনো ধরনের স্থাপনা ছিলো না, শুধুমাত্র এই তিনটি জায়গাকে মহিমান্বিতভাবে ফেরত আনা ছাড়া। পরবর্তী পর্যায়ের তৃতীয় ধাপে নাম দিয়ে ব্যুরোক্রেটিক কায়দায় কারা, কীভাবে দুর্বৃত্তায়ন করে আজকে ওই জায়গায় ফুডকোর্ট বানানোর পরিকল্পনা করেছে?

এদিকে, সোহারওয়ার্দী উদ্যানে গৃহীত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছু গাছ কাটা হলেও প্রায় ১ হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

Exit mobile version