Site icon Jamuna Television

পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একই বাড়ির চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো, নিহতের একই বাড়ির মো. বাবুল (৫১) ও তার ছেলে সুজন (২২)।

নিহত গোলাম কিবরিয়া রাসেদ (২৪) উপজেলার ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের মেরিপাড়া গ্রামের অলি উল্যাহ মৌলভী বাড়ির আবদুল মালেকের ছেলে এবং সে পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. আবদুর রহিম (৩০) পলাতক রয়েছে।

শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় সোনাইমুড়ী থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে শনিবার ভোর ৫টায় হামলার শিকার কিবরিয়াকে তার বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের মামা মো. সেলিম ভূঞা জানায়, নিহত কিবরিয়া আমিশা পাড়া বাজারে তাদের বাড়ির ভিতরের চাচাতো ভাই আবদুর রহিমের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় ইলেকট্রিকের কাজ করে। পরে রেস্তোরাঁর মালিক রহিমের কাছে কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে কিবরিয়ার সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার জের ধরে গত (২ মে) তারা কিবরিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই রেস্তোরাঁয় বেঁধে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। এর পর শুক্রবার দিবাগত রাতে পরিবারের অজান্তে কিবরিয়া ঘরের বাহিরে প্রস্রাব করতে গেলে তারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ঘরের সামনে ফেলে যায়। সেহরি খেতে উঠে পরিবারের সদস্যরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঘরের সামনে থেকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক দুই জনকে আটক করেছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Exit mobile version