Site icon Jamuna Television

আমিরের অধরা ‘পেহলা নেশা’

www.hdnicewallpapers.com

‘পেহলা নেশা, পেহলা খুম্মার; নয়া পেয়ার হ্যায়, নয়া ইন্তেজার’- হিন্দি গান শোনেন, কিন্তু এই গানটি শোনেননি; এমন মানুষ নেই বললেই চলে। প্রথম প্রেমের মুধর সম্মোহনের গান।

রুপালী পর্দায় নয় শুধু, বাস্তবের প্রথম প্রেমও অমন মধুরই হয়ে থাকে; এমনটাই তো বলছেন জো জিতা ওহি সিকান্দার সিনেমার নায়ক আমির খান।

ভালোবাসা দিবসে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “বন্ধুরা, ভ্যালেন্টাইন ডে-তে আমার ‘পেহলা নেশা’ গানটি শোনো! একেবারেই এ দিনটি উপযোগী একটি গান :-)।  আমি আরও বলতে চাই এটি আমার অন্যতম প্রিয় গান। সবাইকে ভ্যালেনন্টাইন ডে’র শুভেচ্ছা! ভালোবাসা।”

শুভেচ্ছা, আর গান শোনার আহবান জানিয়ে ভালোবাসা দিবসে ভক্তদের প্রতি ভালোবাসার দায়বদ্ধতা শেষ করেননি। শুনিয়েছেন নিজের জীবনের ‘পেহলা নেশার’ সন্দেশও।

জো জিতা ওহি সিকান্দার সিনেমার একটি দৃশ্য

সিনেমার ‘পেহলা নেশা’-কে শেষ পর্যন্ত জিতে নিলেও জীবনের ‘ফার্স্ট ইম্প্রেশন’-কে ‘লাস্ট’ পর্যন্ত জয় করে বাস্তবের ‘সিকান্দার’ হতে পারেননি বলিউড ‘ইডিয়ড।’

শুধু প্রথম প্রেম নয়; আমিরের জীবনের দ্বিতীয়, এমনকি তৃতীয় প্রেমও অধরাই রয়েছে গেছে।

কে সেই নারী! মি. পারফেক্টের ‘পেহলা নেশা?’

শুনুন আমিরের কথায়, “বিশ্বাস করুন কিংবা নাই করুন, ১০ বছর বয়সে জীবনে প্রথম প্রেমে পড়ি । খুব কম মানুষই বিষয়টি জানে। আমি টেনিস কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিল, ওখানে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু টেনিস শিখতে আসতো। একটি মেয়েও শিখতে আসতো, এবং তাকে দেখেই আমার সংজ্ঞা হারানোর মতো অবস্থা। ওটা ছিল আমার ‘পেহলা নেশা’, যখন আমি তাকে দেখেছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “আমি গভীরভাবে তার প্রেমে পড়ি, এবং তার নেশার বুঁদ হয়েছিলাম। দিনরাত কেবল তারই কথা ভাবতাম। কিন্তু ভালোবাসার কথাটা বলার মতো সাহস সঞ্চয় করতে পারিনি। আমি ছিলাম খুবই কম বয়সী, এবং তার বয়সও ওই রকমই ছিল। সে দেখতে ছিল অপূর্ব।”

আমিরের দিল চাহতা হ্যায়

দিল চাহতা হ্যায় খ্যাত অভিনেতা আরও বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে অনুশীলন করতাম। সবার আগে আসতাম, এবং যেতাম সবার পরে। আমি তাকে মুগ্ধ করতে চাইতাম। কিন্তু এক বছর কিংবা এর কিছু বেশি সময় পর পরিবারের সঙ্গে সে অন্য শহরে চলে গিয়েছিল। এটা ছিল প্রতিদানহীন ভালোবাসা…………অব্যক্ত ভালোবাসা, যা কখনো ধরা দেয়নি। এমনকি কখনও মুখ ফুটে বলতে পারিনি। মজার বিষয় হচ্ছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভালোবাসাও ছিল প্রতিদানহীন। আমি ভালোবাসার ক্ষেত্রে কখনোই ভাগ্যবান ছিলাম না। কিন্তু এখন আমি ভাগ্যবান।”
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Exit mobile version