Site icon Jamuna Television

জ্যাকব জুমাকে ঘিরে যতো বিতর্ক

বিতর্ক আর সমালোচনার অপর নাম যেন জ্যাকব জুমা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই জড়ান বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতিতে। ক্ষমতাসীন দল, আফ্রিকান ন্যাশনাল কাউন্সিল- এএনসি’র শীর্ষ পদে থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে উঠে আসে একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ। দলীয় চাপের কারণে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়তে হয়ে ৯ বার। ব্যক্তিজীবন নিয়েও সমালোচিত জুমা। ৬ বার বিয়ে করে যেমন বিতর্কের মুখে পড়েছেন, তেমনি দফায় দফায় ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

জ্যাকব জুমার পুরো নাম জ্যাকব গেদলেইলেকিসা জুমা। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত জেজি নামে। রাজনীতির হাতেখড়ি দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার কাছ থেকে। বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে ১৯৬২ সালে যোগ দেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কাউন্সিল- এএনসি’র সশস্ত্র শাখায়। প্রশিক্ষণের সময় গ্রেফতার হয়ে ম্যান্ডেলার সাথেই রবেন দ্বীপে ১০ বছর কাটান জুমা।

কারামুক্তির পর রাজনৈতিক আশ্রয় নেন মোজাম্বিক ও জাম্বিয়ায়। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসান হলে ফের তৎপর হন রাজনীতিতে। একে একে দায়িত্ব পান এএনসির শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায়। ১৯৯৭ সালে নির্বাচিত হন এনএনসির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এরপর থেকেই একের পর এক দুর্নীতিতে জড়াতে থাকেন জুমা। অভিযোগ আসতে থাকে নানা আর্থিক কেলেঙ্কারির।

দুর্নীতির অভিযোগ আর কেলেঙ্কারি পাহাড় মাথায় থাকা স্বত্বেও ১৯৯৯ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হন জুমা। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অস্ত্র ক্রয়চুক্তিতে কয়েক বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের।

থাবো এম্বেকি সরকারের পতনের পরের বছর, ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জ্যাকব জুমা। ক্ষমতায় এসে শুধু দুর্নীতিই নয়, সমালোচিত হন নৈতিক স্খলন আর বিতর্কিত বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে। অভিযোগ ওঠে নিজের বাড়ি নির্মাণের সরকারি অর্থ ব্যয়ের। এছাড়াও স্ত্রী এবং সন্তানদের ভরনপোষণে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থও আত্মসাত করেন জুমা। এসব কারণেই ৯ বার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

জুমা সমালোচিত হয়েছেন তার ব্যক্তি জীবন নিয়েও। বিয়ে করেছেন ৬ বার, সন্তানের সংখ্যা ২১!

যমুনা অনলাইন: এমএম/টিএফ

Exit mobile version