Site icon Jamuna Television

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আউয়াল

রাজধানীর পল্লবীতে শিশুপুত্রের সামনে বাবাকে হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এমএ আউয়ালকে ৪ দিনের রিমোন্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার, ২১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরও তিন আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন- মো. সুমন বেপারী, মো. রকি তালুকদার ও মুরাদ। শুক্রবার আদালতসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১৬ মে পল্লবীতে শিশু মাশরাফির সামনে নৃশংসভাবে তার বাবা সাহিনুদ্দিনকে হত্যার অভিযোগ আসে। এই ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা জনাব আকলিমা বাদি হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি, ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়ালসহ ২০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৪-১৫ জনকে আসামি করা হয়।

অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মানিক গত বৃহস্পতিবার মিরপুরে র‍্যাবের সাথে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া এই মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, আবু তাহের, সুমন, মুরাদ, শফিক, শফিক (২), টিটু, রাজ্জাক, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, মরণ আলী, লিটন, আবুল, সুমন, কালু, বাবু।

হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর ঘাতক সুমন বেপারী ফোনে এমএ আউয়ালকে খুনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। এই কথোপকথনের রেকর্ড র‍্যাবের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে।

হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে সাহিনুদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনায় হত্যার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় সুমনকে। তার নেতৃত্বে ১০-১২ জন সাহিনকে খুন করে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল আন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আল মঈন এসব কথা বলেন।

র‍্যাব জানায়, সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ৩০ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিলো। ১৬ মে বিকালে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে ডেকে এনে সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০-১২ জন শিশু মাশরাফির সামনেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তার বাবা সাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

Exit mobile version