ফাইল ছবি।
কমনওয়েলথের গোলটেবিল সভায় কার্যকর এবং দক্ষ উপায়ে আরও বেশি স্থিতিশীল ও উন্নত জীবন গড়তে বিশ্বজুড়ে সবুজ ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সার্কুলার অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এশিয়ার আঞ্চলিক কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের গোলটেবিল সভায় (ভার্চুয়াল) এ পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স ফিলিপ আর্থার জর্জ এই সভা আহ্বান করেন।
এসময় কমনওয়েলথ সদস্য দেশ এবং ক্লাইমেট ভালনারেইবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে কোপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বিশ্বজুড়ে সবুজ ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সার্কুলার অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরামর্শ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিধানসহ কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তির ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী সভায় গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানের দিকে সবাইকে মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদান দারিদ্র্য বিমোচন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জলবায়ু ক্ষতি হ্রাসের সর্বোত্তম কৌশল।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম-সিভিএফের চেয়ারম্যান এবং জিসিএর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের হোস্ট হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা এবং স্থানীয়ভাবে অভিযোজন সমাধান এবং নদী ভাঙনের কারণে উপড়ে যাওয়া মানুষদের বাড়িঘর পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি।
কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং বৃক্ষরোপণসহ জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি ইনিশিয়েটিভ’ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন এবং ৩০ মিলিয়ন বৃক্ষরোপণ করতে যাচ্ছি।
Leave a reply