Site icon Jamuna Television

সিরিয়ায় নির্বাচন: আসাদের জয়ের সম্ভাবনার ইঙ্গিত গণমাধ্যমের

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোর সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন জরিপ সংস্থাগুলোর জরিপে প্রাথমিকভাবে দেশটির গণমাধ্যমগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে বাশার আল আসাদ এগিয়ে রয়েছেন।

পার্স টুডের খবরে প্রকাশ পেয়েছে এ তথ্য। খবরে বলা হয়, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, হাসাকা, নাবল, আয-যাহরা ও দেইর আয-যোর সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি বলে জানা গেছে। এদিকে দেশটির আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি।

বার্তাসংস্থা ইউনিউজ, এপির তথ্যমতে নাবল ও আয-যাহরা এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। দেইর আয-যোর প্রদেশে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ায় সেখানে নতুনকরে ব্যালট বাক্স পাঠাতে হয়েছে।

সিরিয়ার এবারের নির্বাচনে তিন জন প্রার্থী রয়েছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও প্রার্থী বাশার আল আসাদ তার স্ত্রীকে নিয়ে আজ দামেস্কের দুমা শহরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে বাশার আসাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিভিন্ন জরিপ সংস্থা জানিয়েছে।

পার্স টুডে তাদের খবরে দাবি করেছে, ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাশার আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকার ও সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সফল হয়েছে বলে দাবি সিরীয় একাংশের।

নির্বাচনে বিজয়ী ব্যক্তি পরবর্তী সাত বছরের জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন। সিরিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি এবং বাথ পার্টির হাতে ন্যস্ত। সিরিয়া সংবিধানমতে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র হলেও সরকার পরিবর্তনের কোন ক্ষমতা নেই জনগণের। দেশটি তাই কার্যত একটি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ ২০০০ সালের এক গণভোটে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন। রাষ্ট্রপতি ও তার মূল সহযোগীরাই, বিশেষত সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা, সিরিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে থাকেন।

দ্যা গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা জাতিসংঘ ঘোষিত সংখ্যার দ্বিগুণ। এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪৫ শতাংশ সিরীয়।

তবে বাশার আল আসাদের বিষয়ে প্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন না থাকলেও গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় আসাদের শক্ত কোনো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে বেশ সহজ হবে তার পুনরায় ক্ষমতায় আসা। ক্ষমতায় আসার পরে সিরিয়ার পররাষ্ট্র নীতির কোন নতুন পরিবর্তন আসবে কিনা সে বিষয়ে কোন ইশতেহার দেননি প্রেসিডেন্ট আসাদ।

Exit mobile version