Site icon Jamuna Television

হাতিরঝিল থানায় মামলা করলেন ভারতে নির্যাতিত সেই তরুণীর বাবা

ভারতে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তরুণীর বাবা হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন। মানবপাচার প্রতিরোধ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনি এ মামলা করেন।

এর আগে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নারী নির্যাতনের ভিডিও দেখে মূল হোতা রিফাতুল ইসলাম রিদয় বা ‘টিকটক রিদয় বাবু’ কে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহীদুল্লাহ। তিনি জানান, ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালায়। ১৫-১৬ দিন আগে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বাংলাদেশি। তারা বাসা হাতিরঝিল থানা এলাকায়। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। ভুক্তভোগীর বাবা ফুটেজ দেখে তার মেয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, কৌশলে হৃদয়ের মামার হোয়াটস অ্যাপ নম্বর থেকে হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সে জানায়, তিন মাস আগে ভারতে গেছে। ভাইরাল হওয়া নির্যাতনের সাথে রিদয় ও তার কয়েকজন বন্ধু জড়িত। রিদয় বর্তমানে পুনেতে অবস্থান করছে। সে কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে তার বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

পুলিশের ধারণা, তারা সংঘবদ্ধ একটি মানবপাচার চক্র। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদেশ যেতে আগ্রহী মেয়েদের প্রলুব্ধ করে পাচার করতো।

স্যার, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি মেয়েকে বিবস্ত্র করে কয়েকজন ছেলে ও একজন মেয়ে অমানুষিক শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করছে। ভিডিওতে যৌন নির্যাতনকারী একজনের সাথে হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজার এলাকার একজনের ফেসবুক আইডিতে ব্যবহৃত ছবির মিল পাওয়া যাওয়ায় তার বাসা খুঁজে বের করা হয়। তার নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয় (২৬), পিতা: মোঃ আবুল হোসেন, মাতা: মিনু আক্তার, বাসা নং- ৫২৭/৬, নয়াটোলা (বউবাজার), মগবাজার। সে টিকটক হৃদয় বাবু নামে পরিচিত।

উল্লেখিত ঠিকানায় ‘হৃদয় বাবু’র মা ও মামা ফরহাদ হোসেন (৪৮) কে পাওয়া যায়। হৃদয় বাবুর মা ও মামাকে হাতিরঝিল থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানায়, ‘রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে হৃদয় বাবু গত চার মাস আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে’। হৃদয় বাবুর মামার মোবাইল নম্বর থেকে কৌশলে হৃদয়ের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে সে জানায়, ‘সে তিন মাস আগে ভারতে গেছে।

Exit mobile version