Site icon Jamuna Television

ধর্ষণের অভিযোগ করায় মারধর, ভুক্তভোগীর ভাইয়ের আত্মহত্যা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছে তার পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে ভুক্তভোগীর ভাইকে মারধর করেছে অভিযুক্তদের একজনের পরিবার। অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে ওই ছাত্রীর ভাই। মঙ্গলবার (১ জুন) ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোর মারা যায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, সম্প্রতি আব্দুল্লাপুর এলাকায় ওই মাদরাসা ছাত্রী প্রতিবেশী তিন কিশোরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ফাহিম, সামি ও হাবিবুরের বিরুদ্ধে টঙ্গীবাড়ী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা করেন।

অভিযুক্ত ফাহিম ও হাবিবুর জেলহাজতে থাকলেও ধর্ষণের সহযোগী অপর আসামি সামি এখন জামিনে আছে।

মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত শনিবার (২৯ মে) রাতে ভুক্তভোগীর ভাই পারভেজকে আটক করে চুরির অপবাদ দিয়ে সামির পিতা হাসান (৫০), ফুপা বাচ্চু কোতোয়াল (৫৫) ব্যাপক মারধর করেন।

অপমান সহ্য করতে না পেরে পরদিন রোববার (৩০ মে) কীটনাশক পান করে পারভেজ। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েক দফা হাসপাতাল পরিবর্তনের পর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে সে মারা যায়।

নিহত পারভেজের বাবা বলেন, মেয়ের সাথে এমন ঘটনার পর ছেলেকেও হারালাম। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবনাথ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব আগের মামলাটি শেষ করা হবে। আজকের ঘটনাটির পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো আসামিই ছাড় পাবে না।

Exit mobile version