Site icon Jamuna Television

কেমন ফোরজি- দেখার জন্য অপেক্ষা

আজ থেকে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা– ফোরজি’তে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। নিলামে তরঙ্গ বরাদ্দ পাওয়া রাষ্টায়াত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক সহ দেশের সবক’টি মোবাইল ফোন অপারেটরকে আজ দেয়া হবে লাইসেন্স। গ্রাহকের কাছে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত বিটিআরসি। যদিও উপযুক্ত হ্যান্ডসেটের অভাব আর অবকাঠামো সীমাবদ্ধতায় এই সেবা পাবেন ৫ শতাংশেরও কম গ্রাহক।

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাস্তবে কেমন হবে এই সেবার ফল- তা দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন গ্রাহকরা। যদিও মোবাইল অপারেটরা তেমন আশাবাদী নন। তাদের দাবি, তৃতীয় পক্ষের তৈরি ট্রান্সমিশন সেবা এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

ফোর-জি লাইসেন্সের জন্য অপারেটরদের গুণতে হবে ১০ কোটি টাকা। বার্ষিক নবায়ন ফি ৫ কোটি। আর ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে ১৫০ কোটি টাকা। বিটিআরসি’র নীতিমালা অনুসারে, লাইসেন্স পাওয়ার ৯ মাসের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে ফোর জি সেবা দিতে হবে।

ট্রান্সমিশনের জন্য অপারেটদের প্রস্তুতির ঘাটতি আছে বলে মনে করে প্রযুক্তিবিদরা। ফাইবার অ্যাট হোম এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ট্রান্সমিশনের জন্য অপারেটররা আগে প্রস্তুতি নিয়েছে বলে মনে হয় না। ফোরজি’র জন্য যে ধরনের ফাইবার সংযোগ প্রয়োজন তা আগে থেকে নেয়া হয়নি। এখন নিচ্ছে অপারেটররা। ফলে আশানুরূপ ফল আসবে না।

বর্তমানে চালু থাকা থ্রি-জি ইন্টারনেটের গড় গতি ৩ দশমিক ৭৫ এমবিপিএস। আর পর ফোর-জি তে এই গতি ৭ এমবিপিএস বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

Exit mobile version